মহাষষ্ঠীর সকালে বঙ্গবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সল্ট লেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপি আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই শুভ দিনে বাংলার মনীষীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের সব ক্ষেত্রের বরেণ্য মানুষদের কথাই তুলে ধরেছেন মোদী। সমাজ পরিবর্তনে স্বামী বিবেকান্দ থেকে চৈতন্য, অরবিন্দ থেকে লোকনাথ সবার কথা উল্লেখ করেছেন মোদী। বাদ দেননি অনুকূল ঠাকুর থেকে মা আনন্দময়ীকেও। বাদ যায়নি মতুয়া সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরও।
বাঙালি মনীষীদের গুনগান করতে গিয়ে সাহিত্য জগতে তুলে ধরে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত বরেণ্য ব্যক্তিদের নাম।
সমাজ সংস্কারক হিসাবে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগক, রামমোহন রায়, পঞ্চানন বর্মাদের কথা।
আত্মনির্ভর ভারত গড়তে বাংলার অবদানের কথা তুলে ধরেন মোদী। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মাস্টারদা সূর্য সেন সহ একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম।
দেশের বিজ্ঞান গবেষণাতেও বড় অবদান রয়েছে বাংলার। আর এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও প্রফুল্ল রায়ের মত বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানীদের কথা।
বাঙালি মনীষীদের কথা বলতে গিয়ে নাম শেষ করা যাবে না। এই ভাবেই স্মপণ করেছেন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটকের মত প্রতিভাদের।
বাংলার অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আজকের ভারত গঠনে বাংলার এত অবদান, এত মানুষের অবদান, যাদের নাম নিতে নিতে সন্ধে হয়ে যাবে। ভারতমাতার ছবি সবার আগে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বানিয়েছিলেন। বাংলার মানুষ দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে দিয়েছে, আজও দিচ্ছে, আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতেও দেশের নাম এভাবেই উজ্বল করতে থাকবেন।