২২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বৃহস্পতিবার সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধজাহাজ INS Kavaratti হাতে পেল নৌবাহিনী। যা আগামী দিনে ভারতীয় নৌবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। বিশাখাপত্তনমের নেভাল ডকইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিক ভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হল INS Kavaratti কে। হাজির ছিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
এই যুদ্ধজাহাজের বিশেষত্ব হ'ল ৯০ শতাংশেরও বেশি দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন এটি তৈরি করেছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের পথে দেশকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ, জৈব ও রাসায়নিক যুদ্ধেও অংশ নিতে পারে এই যুদ্ধজাহাজ।
INS Kavaratti সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কলকাতার নামও। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স এবং ইঞ্জিনিয়ার্স এই আধুনিক যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে। প্রজেক্ট-২৮ এর আওতায় এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হয়েছে। এটি হল কামোর্তো ক্লাস করভেট। ২০০৩ সালে এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ গোপনে হানা দিলে তা রুখে দিতে পারে আইএনএস কাভারাত্তি।
প্রকল্প -২৮ এর আওতায় দেশীয়ভাবে নির্মিত অ্যান্টি সাবমেরিন যুদ্ধ জাহাজের মধ্যে এটি সর্বশেষ। ইতোমধ্যে ৩ টি যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারতের প্রথম ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী স্টিলথ করভেট হল আইএনএস কামার্তো(পি-২৮)। তাছাড়াও করভেট গোত্রের আইএনএস কদমত (পি-২৯) ও আইএনএস কিলতান (পি-৩০) রয়েছে ভারতের। এবার আইএনএস কাভারাত্তি (পি-৩১) নৌসেনায় যোগ দিল। ফলে খোলা সমুদ্রে অপ্রতিরোধ্য শক্তি হয়ে হয়ে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।
লাদাখ সংঘাতের মাঝেই সমুদ্রেও আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে চিনা নৌবাহিনী। চিনের হাতে এখন ৫০টি সাবমেরিন রয়েছে। যুদ্ধজাহাজ আছে ৩০০ বেশি। আগামী ১০ বছরে সেই সংখ্যআ ৫০০ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে জিনপিং সরকার। তাই সাগরেও এবার লালফৌজকে টেক্কা দিতে তৈরি হচ্ছে নৌসেনা। আর করভেট গোত্রের স্টিলথ যুদ্ধজাহাজ সেই পথ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।