গত বছরেই কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছিলেন ২০২১ থেকে গোটা দেশজুড়ে FASTag প্রক্রিয়া লাগু হবে। আর সেইমতোই আজ অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গোটা দেশেই লাগু হচ্ছে FASTag।
সোমবার মধ্যরাত থেকে জাতীয় সড়কের সমস্ত টোলপ্লাজায় বাধ্যতামূলক হচ্ছে ফাসট্যাগ (FASTag) পদ্ধতি। গাড়িতে তা না থাকলেই দ্বিগুণ টাকা জরিমানা দিয়ে পার করতে হবে টোল প্লাজা।
এখনও রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রাক, ৯০ শতাংশ বাসেই লাগানো হয়নি ফাসট্যাগ। এতদিন গাড়িতে ফাসট্যাগ চালু থাকলেও টোলপ্লাজায় (Toll Plaza) বেশ কয়েকটি জেনারেল লেনও চালু ছিল। যেখান থেকে ক্যাশ দিয়ে টোল পার করে নেওয়া যেত। তবে সোমবার রাত ১২টার পর থেকেই তা বন্ধ হয়ে গেল।
জাতীয় সড়কের ওপর কমবেশি ৫২৫টি টোল প্লাজায় এই ব্যবস্থা বলবৎ হয়েছে। আগে গাড়িতে ফাসট্যাগ না থাকলে নগদেও মেটানো যেত টোল। এখন আর সেই সুবিধে থাকছে না। ফাসট্যাগ না থাকলে দিতে হবে টোলের দ্বিগুণ টাকা।
মূলত ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রমোশন ও জাতীয় সড়কে টোলপ্লাজা গুলিতে গাড়ির সহজেই যাতায়াত এবং টোল প্লাজা থেকে সরকারের আয়ের সঠিক হিসেবের জন্যই চালু হচ্ছে Fastag। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তিতে কাজ করবে Fastag। টোল প্লাজার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হলেই পাসিং গেট খুলে যাবে।
জাতীয় সড়ক ২০০৮-এর নিয়ম অনুযায়ী, টোল প্লাজাতে কিছু রাস্তা রয়েছে, যা Fastag ব্যবহারকারীদের জন্য বরাদ্দ। এই রাস্তায় এগিয়ে গেলেই Fastag নিজে থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে। গাড়ি থামানোর প্রয়োজনও পড়বে না, বার কোড স্ক্যান করেই ব্যাঙ্ক থেকে পেমেন্ট করা হবে। টোল প্লাজায় এই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম সময় বাঁচানোর পাশাপাশি সামগ্রিক প্রক্রিয়াকেও আরও সহজ করে তুলবে। টোল প্লাজায় ভিড়ও কমবে।
বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধততি আগেই চালু রয়েছে। এবার ভারতেও সেই পদ্ধততি চালু হল। এর আগে ১ জানুয়ারি থেকেই ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বহু গাড়িই এখনও লাগায়নি ফাসট্যাগ। তবে রবিবার কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কোনও কারণেই এই প্রক্রিয়া বিলম্ব করা যাবে না।
কীভাবে এই পদ্ধতিতে নিজেকে নথিভুক্ত করবেন? Fastag ব্যবস্থায় গাড়িতে FASTag স্টিকার লাগিয়ে রাখতে হয়। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি গাড়িকে পৃথক বারকোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। যা সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। লেনের মধ্যে দিয়ে গাড়ি গেলে অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের নির্দিষ্ট টাকা কেটে যাবে। আর এই কারণেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর সঙ্গে Fastag স্টিকারের লিঙ্ক আজকের মধ্যেই করিয়ে রাখুন।