যে গতিতে এগোচ্ছেন, শীঘ্রই মুকেশকে টপকে দেশের ধনীতম হতে পারেন আদানি

দেশের করোনার জন্য ফের লকডাউনের পরিস্থিতি। তলানিতে আর্থিক বৃদ্ধি। কাজ হারাচ্ছেন একের পর এক মানুষ। তারমধ্যেই নজির গড়লেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। চিনের ধনকুবের জং শানশানকে অতিক্রম করে এশিয়ার  দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির সম্মান পেলেন গৌতম। 

  ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুয়ায়ী, মুকেশ আম্বানি বিশ্বের ১৩ তম ধনী ব্যক্তি। এবার শানশানকে পেছনে ফেলে ১৪ তম জায়গায় দখল করলেন আদানি। 
 

এরফলে এশিয়ার প্রথম ও দ্বিতীয় ধনী দু'জনেই ভারতীয়। চলতি বছরের ফেব্রয়ারিতেই শানশানকে এশিয়ার ধনী ব্যক্তি হিসাবে ছাড়িয়েছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। এবার ছাড়ালেন গৌতম আদানিও।
 

শানশানের ৬৩.‌৬ বিলিয়ান ডলারের বিপরীতে আদানির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে  ৬৬.‌৬ বিলিয়ান ডলারে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুয়ায়ী, এ বছর আদানির সম্পদ ৩৭.‌৭ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। 
 

অন্যদিকে ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৬.‌৫ বিলিয়ন ডলার।  

 আদানির প্রতিপত্তি বাড়ার অন্যতম কারণ হল, তাঁর সংস্থার শাখাগুলোর শেয়ারের আকাশ ছোঁওয়া বৃদ্ধি। যেমন আদানি গ্রিন, আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্যাস ও আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের পর থেকে আদানির মোট গ্যাসের শেয়ারের পরিমাণ ১,১৪৫ শতাংশ বেড়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজস ও আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার যথাক্রমে ৮২৭ শতাংশ ও ৬১৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি পাওয়ার যথাক্রমে ৪৩৩ শতাংশ ও ১৮৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
 

পণ্য ব্যবসায়ী হিসাবে জীবন শুরু করা গৌতম আদানি এখন শক্তি, সংস্থান, বন্দর, রসদ, কৃষিক্ষেত্র, রিয়েল এস্টেট, আর্থিক পরিষেবা, গ্যাস বিতরণ, প্রতিরক্ষা ব্যবসা, বিমানবন্দর ও অন্যান্য অনেকগুলি ব্যবসার মালিক।
 

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত সম্পত্তি বাড়ছে গৌতম আদানিরই। স্পেসএক্স-টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক বা আমাজনের জেফ বেজসের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অনেক খবর হয়। কিন্তু, বৃদ্ধির হারের নিরিখে তাঁদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে গৌতম আদানি।

এত দ্রুত পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধি হল কী করে? এর প্রথম কৃতীত্ব অবশ্যই যায় বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা যেমন টোটাল এসএ থেকে ওয়ারবার্গ পিনকাস বড় অঙ্ক বিনিয়োগ করেছে আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়। সেই বিপুল বিনিয়োগ ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক খাতে। গত এক বছরে বন্দর, খনি, বিদ্যুত্ উত্পাদন- ইত্যাদি বৃহৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে আদানি গোষ্ঠী। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যত ক্ষেত্রের কথা মাথায় রেখে ডেটা সেন্টারের ক্ষেত্রেও বিপুল বিনিয়োগ করা হয়েছে।