তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন। বৃষ্টির কারণে হিমাচলের প্রায় ১,০৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৯২ জন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৭৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৩৩৩টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্যানুসারে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪১টি স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ২৯টি স্থানে বন্যা পরিস্থিতি। হিমাচল প্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (HPPSC) প্রবল বৃষ্টির ২৩ জুলাইয়ের HPAS পরীক্ষা বাতিল করেছে।
অতি বৃষ্টির কারণে হিমাচল সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের ৮৭৬টি বাস রুট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় বাস আটকে আছে। হিসাব অনুযায়ী তার সংখ্যা প্রায় ৪০৩।
রিপোর্ট বলছে, গত ৫০ বছরে এমন ভয়ানক বৃষ্টি হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে হিমাচলে এমন বৃষ্টি হয়নি। গত ২৪ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা প্রবেশ করে। তিনি বলেন, বর্তমানে ভিনরাজ্যের পর্যটকরা কুল্লু, মানালি এবং অন্যান্য জায়গায় আটকে রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃষ্টির কারণে জলশক্তি দফতরের ৩৫০.৫০ কোটি টাকা, PWD-র ৬১৬.০৮ কোটি টাকা, উদ্যানপালন দফতরের ৭০.৩৬ কোটি টাকা এবং নগর দফতরের ৩.১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টি, বন্যা, ধসের কারণে হিমাচল প্রদেশের মোট ৪,৬৮০টি প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩২৩.৩০ কোটি টাকা। রাজ্যজুড়ে প্রায় ২,৫০০টি ট্রান্সফরমার বন্ধ।
রাজ্যে একদিনে গড়ে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, এই সময়ে মাত্র ৮.৩ মিমি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নদীখাতে অবৈধ খননের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিপাশা, রবি ও পার্বতী নদীতে অবৈধ খনন চালানো হয়েছে। এর ফলে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মানালির কাছে হাইওয়ে রোডের ধারে এই অংশগুলি পড়ে।