যমুনার জলস্তর নিয়ে সতর্কতা জারি করল দিল্লির কর্তৃপক্ষ। ১৯৮২ সালের পর থেকে, এখনও পর্যন্ত জুলাই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। উপরের ছবিটি সাইবার সিটি গুরুগ্রামের। সেখানে সুভাষ চকে জমা জলে এক ব্যক্তির গাড়ি ভেসে গিয়েছে। কোনোমতে তিনি গাড়ি থেকে বের হন। এরপর তার উপরে বসে সাহায্যের জন্য ফোন করতে শুরু করেন। (ছবি: এজেন্সি)
এই ছবিটি হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার থুনগ ব্লকের। এখানে পাহাড়ে অতিবর্ষণের কারণে প্রবল ধস নেমেছে। জলের তোড়ে মাটি ও গাছপালা ধসে পড়েছে। রাস্তাজুড়ে খালি মাটি ও গাছপালার স্তূপ। সিমলার নিকটস্থ রাজহানা গ্রামে, জলের তোড়ে ধ্বংসাবশেষ এসে এক বাড়ি ঢেকে দেয়। মাটি, পাথর, গাছের স্তুপের নিচে এক কিশোরী চাপা পড়ে যায়। (ছবি: এজেন্সি)
হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেরও বেশ কিছু ভয়ানক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। কার্যত তাসের ঘরের মতো একের পর এক বড় বড় বাড়ি ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। উত্তর ভারতে বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবিতে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার নাগাওয়াই গ্রামে বিপাশা নদীর তীরে স্থানীয়রা আটকে পড়েন। NDRF কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করেন। (ছবি: এজেন্সি)
আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। চণ্ডীগড় এবং হরিয়ানার আম্বালায় যথাক্রমে ৩২২.২ মিমি এবং ২২৪.১ মিমি রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও বিপাকে পড়েছে। এই ছবিটি দিল্লির যমুনা বাজারের। (ছবি: এজেন্সি)
সোমবার দিল্লি এবং গুরুগ্রাম সহ এনসিআর অঞ্চলের স্কুল বন্ধ ছিল। দিল্লিতে অতিবৃষ্টি এবং হাতিনিকুন্ড ব্যারাজ থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। তারপর যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। (ছবি: এজেন্সি)
যমুনা নদীর জলের প্রবাহ বেড়ে গিয়েছে। আগামী দুই-একদিনের জন্য যমুনার জল বিপদসীমার ওপরে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ছবিটি,দিল্লির তিলক ব্রিজের কাছে। (ছবি: এজেন্সি)
হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের পর বন্যায় দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা, রাস্তা ও বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে দিল্লির প্রগতি ময়দান সুড়ঙ্গে জল প্রবেশ করে গিয়েছে। সেখান থেকে বের হতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। (ছবি: এজেন্সি)
হিমাচল প্রদেশের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের মতে, গত ৩৬ ঘণ্টায় ১৪ বড় ভূমি ধস এবং ১৩টি বন্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ৭০০টি রাস্তা বন্ধ। দুই দিনের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপরের ছবিটি সিমলার। সেখানে অতিবৃষ্টির পরে ভূমিধসে এক বৃদ্ধা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদরীনাথ জাতীয় সড়কে, গুলারের কাছে ভূমিধসের সময়ে নদীতে একটি জিপ পড়ে যায়। জিপে ১১ জন ছিল। পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের খোঁজ চলছে। তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপরের ছবিটি দিল্লির ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডের। (ছবি: এজেন্সি)
শ্রাবণ মাসে কানওয়ার যাত্রা চলছে। সেই তীর্থযাত্রীরাও সমস্যায় পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল পরিষেবাও। উত্তর রেল জানিয়েছে যে, প্রায় ১৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ১২টি ট্রেনকে রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)
হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি লাদাখ থেকেও তুষারপাতের খবর পাওয়া গিয়েছে।উপরের ছবিটি হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলার। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পার্বতী নদীর জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)
উপরের ছবিটি দিল্লির। বৃষ্টির কারণে সেখানে অনেক এলাকায় বাড়ি ধসে পড়েছে। সুন্দর নগর এলাকাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নদী-নালার জল বিপদসীমা অতিক্রম করার খবর পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নিচু স্থানগুলির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)
উপরের ছবিটি দিল্লির। বৃষ্টির কারণে সেখানে অনেক এলাকায় বাড়ি ধসে পড়েছে। সুন্দর নগর এলাকাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নদী-নালার জল বিপদসীমা অতিক্রম করার খবর পাওয়া গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া এবং সাম্বা জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নিচু স্থানগুলির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)
দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন নিচু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে আনন্দ, মজার মুহূর্ত খুঁজে নিয়েছে একদল শিশু। উপরের ছবিতে এমনই একদল কচিকাঁচাকে জলে দাপাদাপি করতে দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর পর দিল্লিতে এই ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে যানজটের সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। (ছবি: এজেন্সি)