Advertisement
দেশ

Ganga Expressway Airstrip: সারে জাঁহা সে আচ্ছা... রাস্তাতেই নামবে যুদ্ধবিমান, গর্বের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে

দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এটি এক নতুন অধ্যায়
  • 1/11

উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর তৈরি হল এমন এক এয়ারস্ট্রিপ, যেখানে শুধু দিনে নয়, রাতেও নামতে পারবে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুক্রবার এই এয়ারস্ট্রিপের উদ্বোধন করল ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এটি এক নতুন অধ্যায়। কারণ এই প্রথমবার, কোনও রাস্তার ওপর তৈরি রানওয়েতে দিন-রাত নির্বিঘ্নে নামবে যুদ্ধবিমান।
 

রাতে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে
  • 2/11

এই এয়ারস্ট্রিপটি তৈরি হয়েছে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্গত জলালাবাদ এলাকায়। মেরঠ থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত প্রায় ৫৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের ৮৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। এর আগে উত্তরপ্রদেশেই আরও তিনটি এক্সপ্রেসওয়েতে এমন সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি রানওয়ে চালু হয়েছে— আগ্রা-লখনউ, পূর্বাঞ্চল (পুর্বাঞ্চল) এবং বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে এই শাহজাহানপুরের এয়ারস্ট্রিপই প্রথম, যেখানে রাতে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে।
 

কেন এই এয়ারস্ট্রিপ এত গুরুত্বপূর্ণ?
  • 3/11

সাধারণত বিমান ওঠা-নামার জন্য আলাদা এয়ারবেস বা বিমানঘাঁটি দরকার হয়। কিন্তু যুদ্ধ বা জাতীয় বিপর্যয়ের সময়ে যদি কোনও বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে, তখন রাস্তার ওপর এই ধরনের বিকল্প রানওয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভীষণই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে।
 

Advertisement
কেন এই এয়ারস্ট্রিপ এত গুরুত্বপূর্ণ?
  • 4/11

এই রানওয়েতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক আলো ও ন্যাভিগেশন সিস্টেম। CAT-II ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (ILS) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ঘন কুয়াশা বা রাতের অন্ধকারেও সঠিক ভাবে বিমান নামানো যাবে। বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ভারী ও দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানও অনায়াসে অবতরণ করতে পারে।

 কোন কোন বিমান অংশ নিয়েছে?
  • 5/11

উদ্বোধনের দিনে ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন বিমান এখানে উড়ল এবং নামল। রাফাল, সুখোই-৩০, মিরাজ-২০০০, মিগ-২৯, জাগুয়ারের মতো ফাইটার জেট থেকে শুরু করে C-130J সুপার হারকিউলিস, AN-32 ট্রান্সপোর্ট বিমান ও MI-17 V5 হেলিকপ্টার— সবই অংশ নেয় এই মহড়ায়।
 

 কোন কোন বিমান অংশ নিয়েছে?
  • 6/11

দিনভর চলেছে ফ্লাইপাস্ট, টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং ড্রিল। সন্ধ্যার পরও বিমান ওঠা-নামার ট্রায়াল চলেছে। এর ফলে স্পষ্ট, রাতের অন্ধকারেও এই রানওয়ে পুরোপুরি কার্যকরী।
 

রাস্তার রানওয়ে দিয়ে যুদ্ধবিমান টহল দিতে পারবে
  • 7/11

এই এয়ারস্ট্রিপ মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার হবে। কোনও যুদ্ধ শুরু হলে বা বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটলে যেখানে প্রচলিত বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না, সেখানে এই ধরনের রাস্তার রানওয়ে দিয়ে যুদ্ধবিমান টহল দিতে পারবে, তড়িঘড়ি সাহায্য পাঠানো যাবে।
 

Advertisement
রাস্তার রানওয়ে দিয়ে যুদ্ধবিমান টহল দিতে পারবে
  • 8/11

সাধারণ পরিবহন চলাচলও যেন প্রভাবিত না হয়, সেই পরিকল্পনাও আছে। এই বিশেষ স্ট্রিপ ব্যবহার করা হবে কেবলমাত্র জরুরি পরিস্থিতি অথবা নির্ধারিত সামরিক মহড়ার সময়ে।

সুরক্ষায় কড়া নজর
  • 9/11

এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হয়নি। এয়ারস্ট্রিপের দু’ধারে বসানো হয়েছে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি, সেনাবাহিনীর কর্তারা এবং প্রায় ৫০০ জন স্কুল পড়ুয়া।
 

সময়টা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • 10/11

এই মুহূর্তে যখন জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তখন এই ধরনের পরিকাঠামো উদ্বোধন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও তৎপর, আধুনিক ও যুদ্ধ প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের থেকে অনেক বেশি।
 

সময়টা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • 11/11

এই নতুন এয়ারস্ট্রিপ শুধু যুদ্ধের সময় নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিকম্প বা বন্যার মতো সময়েও কাজে লাগবে। তখন বায়ুসেনা দ্রুত উদ্ধার ও সাহায্য পাঠাতে পারবে।

Advertisement