লডডাউনে শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালীন শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালো জামাই। তারপর শ্যালিকাকে নিয়েই চম্পট দিল সে। ধরা পড়ার পর বিষ খেল শ্যালিক। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায়।
জানা গেছে লকডাউনে কাজ না থাকায় প্রায় দুই মাস শ্বশুরবাড়ি ছিল ব্রিজেশ আহিরওয়ার নামে ওই জামাই। তখনই ১৭ বছরের শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায় সে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিষাক্ত কোনও পদার্থ খেয়েছে ওই যুবতী। বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার।
জানা গেছে, পামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিঙ্কির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ভোপালের গৌতম নগরের বাসিন্দা ব্রিজেশের। রিঙ্কি এবং ব্রিজেশের দুটি সন্তানও রয়েছে। রিঙ্কি জানাচ্ছেন, লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। সেই সময় ব্রিজেশ ও বোনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা দেখে তাঁর এবং তাঁর মায়ের সন্দেহ হয়। কিন্তু এই বিষয়ে ব্রিজেশকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, শ্যালিকা তার বোনের মত।
এরপর জুলাই মাসে ব্রিজেশ তার স্ত্রীকে নিয়ে ভোপালের গৌতম নগরে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। অভিযোগ, সেখানে স্ত্রীকে মারধর শুরু করে সে।এমনকি তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। এরপর একদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে নিয়ে পালায় ব্রিজেশ। এদিকে এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দু পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ব্রিজেশ জানিয়েছে সে রিঙ্কিকে আর মারধর করবে না এবং শ্যালিকার সঙ্গেও আর কোনও সম্পর্ক রাখবে না।