২০২০ -র শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে (Chandra Grahan 2020) ৩০ নভেম্বর। এই বারের চন্দ্রগ্রহণটি কার্তিক পূর্ণিমা অর্থাৎ রাস পূর্ণিমার দিন পড়ছে। এই চন্দ্রগ্রহণ একটি ছায়াগ্রহণ হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই চন্দ্রগ্রহণটি কোথায় দেখা যাবে এবং ভারতে এর প্রভাব কতটা থাকবে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় - ৩০ নভেম্বর দুপুর ১.৪ থেকে বিকেল ৫.২২ পর্যন্ত চলবে চন্দ্রগ্রহণ। এই চন্দ্রগ্রহণ, পূর্ণিমা তিথির রোহিনী নক্ষত্র এবং বৃষ রাশিতে থাকবে।
চন্দ্রগ্রহণ কোথায় দেখা যাবে - ২০২০ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর এবং আমেরিকার কিছু অংশে। তবে এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না।
সূতক - চন্দ্রগ্রহণ শুরুর ৯ ঘন্টা আগে, সূতক কাল শুরু হয়। তবে এই চন্দ্রগ্রহণ একটি উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ এবং এটি ভারতে দৃশ্যমান হবে না। সুতরাং এর সূতক কালও এখানে বৈধ হবে না।
ভারতের উপর এর প্রভাব - এই চন্দ্রগ্রহণ একটি উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ যা ভারতে দৃশ্যমান হবে না। শাস্ত্রে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণকে, চন্দ্রগ্রহণ বলে মনে করা হয় না। অতএব, সূতক কালও এখানে বিবেচনা করা হবে না। কিংবা কোনও কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হবে না। তবে, নক্ষত্র এবং রাশির চিহ্নের প্রভাব অবশ্যই স্থানীয়দের উপর প্রভাব ফেলবে। এই গ্রহগ্রহণটি বৃষ রাশিতে থাকবে, সুতরাং বৃষ রাশির জাতকদের গ্রহণের সময়কালে কিছুটা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ কী - চন্দ্রগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করে। চাঁদ যখন পৃথিবীর প্রকৃত ছায়ায় প্রবেশ না করে বেরিয়ে আসে তখন তাকে ছায়া গ্রহণ বলা হয়। চাঁদ যখন পৃথিবীর প্রকৃত ছায়ায় প্রবেশ করে, তখন এটি একটি সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হিসাবে বিবেচিত হয়। ছায়া গ্রহণকে প্রকৃত চন্দ্রগ্রহণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। এমনকি জ্যোতিষশাস্ত্রতেও একে গ্রহণের মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
চন্দ্রগ্রহণে কী হয় - পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝে আসে তখন সূর্যের পুরো আলো চাঁদে পড়ে না। একে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় থাকে। চন্দ্রগ্রহণ সর্বদা পূর্ণিমার রাতে ঘটে। একটি চন্দ্রগ্রহণ তখনই ঘটে যখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় এক বছরে সর্বাধিক তিনবার অতিক্রম করে।
চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণ চাঁদের দিনে পড়ে - চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণ চাঁদের দিনেই পড়ে। তবে প্রতিটি পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয় না। এর কারণ হ'ল চাঁদের কক্ষপথ, পৃথিবীর কক্ষপথে বাঁকানো। এই প্রবণতা প্রায় ৫ ডিগ্রি। তাই প্রতি বার চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় প্রবেশ করে না। এটি উপরের বা নীচ থেকে থাকে। একই জিনিস সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।