আগামী ২৮ তারিখ পিএসএলভি-সি৫১ (PSLV-C51) রকেটের মাধ্যমে ব্রাজিলের স্যাটালাইট Amazonia-1 সহ ৩টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ইসরো। এই স্যাটেলাইটগুলি ভারতীয় স্টার্টআপের মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে। এগুলির নাম দেওয়া হয়েছে আনন্দ, সতীশ ধাওয়ান স্যাটেলাইট এবং ইউনিটিস্যাট। সতীশ ধাওয়ান স্যাটেলাইটটি স্পেস কিডস ইন্ডিয়া নামের স্টার্টআপের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ও নামও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। (ছবি সূত্র-স্পেস কিডস ইন্ডিয়া)
স্পেস কিডস ইন্ডিয়ার সিইও জানিয়েছেন, আমাদের মতো স্টার্টআপকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য আমরা অনেকের নাম চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। প্রায় ২৫ হাজার নাম এসেছিল। যাঁরা এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে যাবে। তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম ও ফটো শীর্ষ প্যানেলে রয়েছে। ভারতীয় বেসরকারি সংস্থার দ্বারা তৈরি স্যাটেলাইটে মানুষের নাম যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। (ছবি সূত্র-স্পেস কিডস ইন্ডিয়া)
স্পেস কিডস ইন্ডিয়ার সিইও আরও বলেন, সতীশ ধাওয়ান স্যাটেলাইটটি মহাকাশে রেডিয়েশনকে পর্যবেক্ষণ করবে। চৌম্বকীয় প্রবাহ নিয়ে গবেষণার পর প্রধানমমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতকে মহাকাশে প্রতিষ্ঠিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত মিশনের মতো পরিকল্পনার জন্যই আমাদের মতো বেসরকারি সংস্থা ইসরোর সঙ্গে কাজ করা সুযোগ পেয়েছে। সেই কারণে প্রধানমমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য তার নাম ও ছবি স্যাটেলাইটে লাগিয়ে মহাকাশে পাঠাচ্ছি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীহরিকোটা থেকে PSLV-C51-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে। এছাড়া এর মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ গীতা পাঠ্য আকারে একটি চিপের মাধ্যমে মহাকাশে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। (ছবি সূত্র-স্পেস কিডস ইন্ডিয়া)
সতীশ ধাওয়ানের মতো ন্যানো স্যাটালাইট পৃথিবীর লোয়ার আর্থ সার্কিটে প্রদক্ষিণ করতে করতে বা কোনও জায়য়া স্থির হয়ে আবহাওয়া, চৌম্বকীয় প্রবাহ, রেডিয়েশনের মতো বিষয়ে গবেষণার কাজ করে। আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সও লাগাতার এই ধরনের ন্যানো স্যাটালাইট নিয়ে কাজ করছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
স্পেস কিডস ইন্ডিয়া মহাকাশে নিজেদের নাম পাঠানোর জন্য একিট ডিজিটাল ড্রাইভ পাঠিয়েছিল। যার ফর্ম পূরণের পর মানুষের কাছে মিশনের বোর্ডিং পাস যেত। এতে নাম আবেদনকারীর থাকলেও ফটো ও বিবরণ মিশনের থাকত। যেমন নরেন্দ্র মোদীর বোর্ডিং পাসে তাঁর নাম থাকলেও ছবি রয়েছে সতীশ ধাওয়ানের। মোদীর ফর্ম সংস্থার তরফেই পূরণ করা হয়েছিল। (ছবি সূত্র-স্পেস কিডস ইন্ডিয়া)
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পিএসএলভি-সি৫১-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে স্যাটেলাইটগুলি। Amazonia-1 প্রথম আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট যা পুরোপুরি ব্রাজিলে তৈরি হয়েছে। (ছবি সূত্র- গেটি)
বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ Pixxel-এর তরফে বানানো হয়েছে আনন্দ (Anand) স্যাটেলাইটটি। অন্যদিকে ৩টি স্যাটেলাইট মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ইউনিটিস্যাট (UNITYsat)। সেই ৩টি হল শ্রীপেরুমপুদুরের জেপ্পিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্যাটেলাইট (JITsat), নাগপুরের জিএস রাইসোনি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (GHRCE Sat) এবং কোয়েম্বাটুরের শ্রীশক্তি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (Sri Shakti Sat)। (ছবি-সূত্র-ইসরো)
ISRO-র এই মিশন এই জন্যই বিশেষ, কারণ এই প্রথম পিএসএলভি-সি৫১-এর সঙ্গে বেসরকারি রিমোট-সেন্সিং স্যাটালাইট আনন্দকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২০২৩-এর মধ্যে এই ধরনের মোট ৩০টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। (ছবি সূত্র-গেটি)
এই প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিয়েছে ইসরো। এবারই প্রথম বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা নিজেদের স্যাটেলাইটের গবেষণা করবেন। আপাতত ২টি স্যাটেলাইটের জন্য অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তারমধ্যে একটি বেসরকারি সংস্থার, অপরটি পড়ুয়াদের। (ছবি সূত্র-ইসরো)