দিল্লি সংলগ্ন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরে বিয়ের পরে কনের সাথে অত্যাচারের এক ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। কনের অভিযোগ, ছোট ভাইকে প্রথমে বিয়ের জন্য দেখানো হয়েছিল। তবে মাতাল বড় ভাইয়ের সাথে লুকিয়ে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়।
তরুণীর অভিযোগ বিয়ের পর শাশুড়ি তাকে তার চার ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে। তরুণী এই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করলে, তাকে মারধর করা হয় ও জোর ঘাটানো হয়। এই বিষয়ে পুলিশ মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত। শুরু করেছে তদন্ত।
শ্বশুরবাড়ির এই নৃশংসতা অত্যাচার থেকে বাঁচতে বিয়ের দু’মাস পর কোনওমতে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন তরুণী। এরপর গাজিয়াবাদের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। ইতিমধ্যে সিহানী পুলিশ স্টেশনে ওই তরুণীর স্বামী ও শাশুড়ি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তার স্বামীর ২ বড় ও এক ছোট ভাই রয়েছে। তার দুই ভাশুর বিবাহিতও। তার পরেও বিয়ের দ্বিতীয় দিন, তার শাশুড়ি দুই ভাশুর ও দেওরকে তার ঘরে পাঠিয়ে দেয়। সেদিন প্রতিবাদ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তাঁকে নিয়মিত নির্যাতন করা হত। এমনকি একদিন তরুণীর শাশুড়ি, স্বামী এবং ভাশুর মিলে তাঁকে মারধর করে পোশাকও ছিড়ে দেয়। এরপর তরুণীর মায়ের কাছে জামাইয়ের বাইকের জন্য ৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।