এই সপ্তাহ পেরোলেই বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার থেকে বিহারে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাসারাম, গয়া ও ভাগলপুরে একদিন পর পর ৩টি সভা। করলেন প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদী।
সাসারামে প্রথম সভাতেই আরজেডি-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে সরব হন মোদী। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। নীতীশকে পাশে নিয়ে মোদী বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অপরাধ এবং দুর্নীতির শিকার ছিল বিহার।’’
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও নীতীশ সরকারকে ফুল মার্কস দেন মোদী। বলেন, ‘‘নীতীশজি না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত।’’
প্রতিটি প্রচারে উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার কথাই তুলে ধরেন মোদী। নীতীশ কুমার সরকারের শাসনকালের কেবলমাত্র শেষ ১৮ মাসেরই প্রশংসা উঠে আসে মোদীর কণ্ঠে।এই শেষ ১৮ মাস এনডিএর সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করে নীতীশের জেডিইউ। মোদী বলেন, কংগ্রেসে শাসিত ইউপিএর আমলে কোনওভাবেই উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলেন না নীতীশ।' কিন্তু এনডিএ আসার পর কী হয়েছে গত ১৮ মাসে, তা আর আমি নতুন করে বলছি না,আপনারা জানেন।'
সাসারামের পাশাপাশি এদিন ভাগলপুর এবং গয়ার ডেহরিতে সভা করেন মোদী। বিহার বিজেপি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বার রাজ্যে মাত্র ১২টি সভা করবেন মোদী।
সভায় মোদীর বক্তৃতা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিহারের ২৪৩টি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করেছে রাজ্য বিজেপি। এর জন্য এলসিডি প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফে। এদিন সভায় মোদীর বক্তব্য জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রচারিত হয় আশপাশের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও এদিন প্রচারের ময়দানে নামেন। নওয়াদার হিসুয়া এবং ভাগলপুরের কহালগাঁওয়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেন।
হিসুয়া হিসুয়ার রাহুলের সঙ্গী হন ‘মহাগঠবন্ধন’ মুখ্য়মন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সভায় রাহুল বলেন, ‘‘বিহারের গরিব মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নজর নেই। তাঁর চিন্তা শুধু অম্বানী-আদানিদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি।’’
২৮ অক্টোবর বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে গোবলয়ের রাজ্যটিতে এখন প্রচারে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।