
উত্তরপ্রদেশের বারাণসী রেল স্টেশন থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি রোপওয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মী জানিয়েছেন, এই কেবল কার পরিষেবা ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বারাণসীর বিভাগীয় কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, '৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চালু হওয়া একটি পরিষেবা ভারতের প্রথম ইন্টারসিটি পরিষেবা বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে এটি চালু করার পরিকল্পনা করছি। বর্তমানে জোরকদমে কাজ চলছে।'

রোপওয়ে সার্ভিস সম্পর্কে বারাণসীর বিভাগীয় কমিশনার বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে বেশ কয়েকবার সফর করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি শহরের পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য জোর দিয়েছেন। মোদী বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।'

এই রোপওয়ে পরিষেবা শহরের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনারই অংশ।' তিনি আরও বলেন, 'বারাণসীর জনসংখ্যা প্রায় ৪.২ মিলিয়ন। রাজলিঙ্গম তামিলনাড়ুর তেনকাসির কাদায়ানল্লুর থেকে এসে এসে চলতি বছরই বারাণসীর বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

এস রাজলিঙ্গম বলেন, 'মোট ৬০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই রোপওয়ে তৈরির কারণ আগে থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষ কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যেতেন, যা আজ বেড়ে ২০ হাজার হয়েছে।

রেল স্টেশন থেকে শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।'

মাথা পিছু রোপওয়ের টিকিট মূল্য ৫০ অথবা ১০০ টাকা করা হবে। প্রতিটি রোপওয়ে ১০ জন বসতে পারবেন। মোট ১৪৮টি বসার আসন তৈরি করা হবে।

সরু রাস্তা এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ার কারণে, শহরের জন্য মেট্রো রেল প্রকল্প সম্ভব ছিল না। তাই এই রোপওয়ে পরিষেবার পরিকল্পনা। এস রাজলিঙ্গম আরও বলেন, 'এটিই হবে প্রথম রোপওয়ে পরিষেবা যা শহরের মধ্যে ৮ কিমি দীর্ঘ অংশে চলবে।

প্রতিদিন এই রোপওয়েতে ১ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশাবাদী সরকার। চলতি বছর ৭ কোটি ছাপিয়ে যেতে পারে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৫০ লক্ষ।

অভ্যন্তরীণ নৌপথ শক্তিশালী করার জন্য প্রশাসন গঙ্গা নদীতে নৌকার ব্যবহারও বাড়িয়েছে বারাণসীতে। আগে ৬০০টি নৌকা ছিল। তবে এখন তা বাড়িয়ে ২ হাজার করা হয়।