সেজে উঠে গোটা কাশী। নব নির্মিত কাশী বিশ্বনাথ ধামকে স্বাগত জানাচ্ছে সমগ্র নগর। গোটা এলাকা সেজে উঠেছে আলোর মালায়। রাতের কাশী যেন আরও মোহময়ী।
কাশীতে এখন অকাল দীপাবলি। ৫৪ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তার কাশী বিশ্বনাথ করিডরের। প্রদীপ, আলোয় সেজে উঠেছে।
গোটা প্রকল্প শেষ হতে লেগেছে প্রায় ৩২ মাস। ৫০০ সাধু মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে যার দ্বারোদঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। গোটা প্রকল্পকে তদারকি করেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার থাকায় সেই কাজে আরও গতি এসেছে। গোটা দুনিয়ার কাছে আরও আকর্ষণ বাড়বে কাশী বিশ্বনাথ ধামের।
দুনিয়ার পবিত্র ও প্রাচীন শহর হিসেবে খ্যাত কাশী। বিশ্বনাথ এখানে ব্রহ্মাণ্ডের স্বামী। শিবের ১২ জ্যোর্তিলিঙ্গের অন্যতম এটি। গঙ্গার পশ্চিম পারের নগরী কাশী শিব ও পার্বতী পছন্দের শহর।
দশাশ্বমেধ ঘাটে ঐতিহাসিক কাশী মন্দিরের আশেপাশে এখন ভক্তদের ঢল। সংকীর্তনও চলছে।
নতুন করিডরে লেজার শোয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কাশীর বাসিন্দারাও সামিল হয়েছেন এই মহাসমারোহে। আলপনা দিয়েছেন, প্রদীপ জ্বালিয়েছেন তাঁরা।
এখানে ২৩টি ছোট-বড় ভবন ও ২৭টি মন্দির রয়েছে করিডর চত্বরে। আর অলিগলি দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে না ভক্তদের। ২২টি শিলায় প্রতিভাত রয়েছে কাশীর মহিমা। রয়েছে তিনটি যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, চারটি শপিং কমপ্লেক্স, হল, যাদুঘর ও গ্যালারি।
সনাতনীদের বিশ্বাস, কাশী বিশ্বনাথ দর্শনে সমস্ত পাপ থেকে মেলে মুক্তি। মৃত্যুর পর মেলে মোক্ষ।
কাশীতে ভব্য মন্দিরের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে লক্ষ কিলোর লাড্ডু তৈরি হয়েছে। ৪ লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছবে প্রসাদ।