Sonia Gandhi Retires From Politics: কংগ্রেসের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোনিয়া গান্ধী রায়পুরে কংগ্রেস অধিবেশনে বিজেপির ওপর রীতিমতো 'হামলা বোল' করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, সরকারের সাংবিধানিক মূল্যকে নষ্ট করছে। সংবিধানিক সংস্থার উপরে আরএসএস-বিজেপির কব্জা তৈরি হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারত জোড়ো যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ এই যাত্রায় অংশ নিয়ে যাত্রাকে জীবন্ত করেছে।
সনিয়া গান্ধী বলেছেন যে কংগ্রেস গণতন্ত্রকে মজবুত করেছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে আমরা একটা ভাল সরকার তৈরি করেছিলাম। সেখানে বিজেপির উপর আক্রমণ করে তিনি বলেছেন যে, আজকে দেশে কংগ্রেসের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। দলিত সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের সঙ্গে অত্যাচার হচ্ছে এবং সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। তারা শুধুমাত্র কিছু শিল্পপতিকে সঙ্গ দিচ্ছে।
সনিয়া গান্ধী তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছেন
সনিয়া গান্ধী নিজের রাজনৈতিক ইনিংস শেষ করার সংকেত দিয়ে বলেছেন যে, ভারত জোড়ো যাত্রা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শেষ ইনিংস।ইউপিএ অধ্যক্ষ সোনিয়া বলেন যে ২০০৪ এবং ২০০৯ আমাদের জয়ের সঙ্গে ডঃ মনমোহন সিংয়ের কুশলি নেতৃত্ব আমাকে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি দিয়েছে। কিন্তু আমি সবচেয়ে বেশি খুশি এই বিষয়ে যে আমার ইনিংস ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে সমাপ্ত হয়েছে। যা কংগ্রেসের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ প্রমাণিত হয়েছে।
দেশের কল্যাণে লড়াই করবে কংগ্রেস: সনিয়া
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সভানেত্রী জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতর যাত্রা সফল হয়েছে। রাহুল গান্ধী এই কঠিন যাত্রাকে সহজ করে ফেলেছেন। তিনি জনতার সঙ্গে কংগ্রেসকে জোড়ার কাজ খুব ভালভাবে করেছেন। কংগ্রেসের এই মুহূর্তে কোমর বেঁধে নেওয়ার সময় এসেছে এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য লড়াই লড়বে কংগ্রেস। দেশের কল্যাণের লড়াই করবে। মজবুত নেতা কংগ্রেসের শক্তি। আমরা অনুশাসনের সঙ্গে লড়াই করতে চাই। মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে বলে আমরা আশা করি এবং মানুষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে হবে। নেতৃত্বে সফল হবে বলে জানান সনিয়া।
বিজেপি সরকারের ডিএনএ গরীব বিরোধী খাড়্গে
সনিয়া গান্ধীর পরে অধিবেশনে কংগ্রেস অধ্যক্ষ মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানান যে, ভারত সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের নতুন আন্দোলনের প্রয়োজন রয়েছে। সেবা-সংঘর্ষ এবং বলিদানে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত। "সেবা সংঘর্ষ অর বলিদান সবসে পহেলে হিন্দুস্তান" এটা আমাদের স্লোগান হবে।
বিজেপির ওপর আক্রমণ করে খাড়্গে জানান যে ঘৃণার কারণে দেশে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে রয়েছে। এই অধিবেশনকে আটকানোর জন্য বিজেপি এখানে ইডি রেড করিয়েছে। আমাদের লোকেদের গ্রেফতার করেছে। দেশে গণতন্ত্র নষ্ট করার প্রয়াস চালাচ্ছে বিজেপি। রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি জানান যে তিনি আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তিনি কেন্দ্র সরকারের উপর আক্রমণ করে বলেন যে, যে আমার এটা বলতে গিয়ে অত্যন্ত সংকোচ হচ্ছে যে দিল্লিতে থাকা সরকারের ডিএনএ গরিব বিরোধী।
এখন CWC হবে ৩৫ সদস্য
কংগ্রেস নিজেদের সংবিধানে কিছু রদবদল করছে। যার পরে এখন কংগ্রেস কার্যকরী সমিতি CWC তে ৩৫ সদস্য থাকবে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ মহিলা, ওবিসি সংখ্যালঘু হবে। কংগ্রেসের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, সাংসদ, পূর্ব প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এর আগে কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতিতে ২৩ জন সদস্য থাকতেন। এই কমিটিতে ৫০ বছরের কম বয়সী অর্ধেক সদস্য রাখা হবে। এছাড়া কংগ্রেস পার্টির সদস্যপদ কেবল ডিজিটালি পাওয়া যাবে ।বুথের ওপর ফোকাস করা হবে। ট্রান্সজেন্ডারদের পার্টিতে জায়গা দেওয়া হবে এবং ফর্মে মা এবং স্ত্রীদের নাম থাকবে।