Tejas Fighter: চিন-রাশিয়া-কোরিয়াকে টেক্কা তেজস-এর, মালয়েশিয়া কিনবে ভারতের ফাইটার

ভারতে তৈরি স্বদেশী হালকা বিমান তেজস এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার ফাইটার জেট প্রোগ্রাম এর জন্য বাছাই করা হয়েছে। ভারত এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে এই ফাইটার ডিল নিয়ে কথা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ডিল পুরো হওয়ার কথা রয়েছে। মালেশিয়ার ফাইটার জেট প্রোগ্রামের জন্য নিজেদের সবার উপরে নিয়ে গিয়েছে।

এলসিএ তেজস এর ডিল ভারত, মালয়েশিয়াকে এর অফারও দিচ্ছে। অর্থাৎ মালয়েশিয়াতে ফেসিলিটি তৈরি করা হবে, যেখানে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা তেজস সমেত রাশিয়ার সুখোই-৩০ ফাইটার জেটের মেরামত করবে। মালয়েশিয়া এখন রাশিয়ার সাহায্য নিতে পারবে না, তার কারণ রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক ডিল করার উপর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

এই কোম্পানি বিমান তৈরি করা কোম্পানি হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেড(HAL) এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর মাধবন জানিয়েছেন যে, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত খুশি যে এবং আত্মবিশ্বাসী। অন্যদের প্রতিযোগিতায় হারিয়ে সেই জায়গা অর্জন করেছে। চিনের জেফ ১৭ ফাইটার জেট তেজের চেয়ে সস্তা। কিন্তু তারা তেজস এর মতো মাল্টি ফেসিলিটি এবং সুবিধাজনক নয়। আমাদের তেজাস করিয়া এবং চীনের ফাইটার জেট থেকে অনেক গুণ ভালো অনেক ঘাতক এবং অত্যাধুনিক।

আগামী বছর ভারতীয় বায়ু সেনা, শক্তি আরও বাড়াতে চলেছে। স্বদেশী মাল্টি রোল কমব্যাট ফাইটার্স জেট তেজস মার্ক টু বানানো শুরু করা হবে। এরপর ২০২৩ এ এর হাই স্পিড ট্রায়ালসও শুরু হবে। এই তথ্য দেওয়া হয়েছে যে ২০২৫ পর্যন্ত হ্যাল এর উৎপাদন শুরু করে দেবে। আরও বেশি খতরনাক হবে এই ফাইটার।

নেক্সট জেনারেশন মাল্টি রোল কমব্যাট (AMCA)-র প্রজেক্ট এর বিষয়ে মাধবন জানিয়েছেন যে এর মধ্যে নিজস্ব ক্ষেত্রের কোম্পানিগুলিকেও শামিল করার যোজনা রয়েছে। ভারত পঞ্চম প্রজন্মের মধ্য ওজনওয়ালা ফাইটার জেট বানাচ্ছে। এই প্রজেক্টে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৩৬ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা খরচ হবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটি তৈরি হয়ে যাবে।

এর গতি হবে মেক-টু অর্থাৎ ৩৪৫৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এর রেঞ্জ ২৫০০ কিলোমিটার হবে। এটি ৫০ হাজার ফিট উঁচু পর্যন্ত উঠতে পারবে এবং ২৩ মিলিমিটারের জিএসএইচ, ২৩ গান থাকবে। সঙ্গে এর মধ্যে হাওয়াতে থেকে হাওয়া পর্যন্ত অ্যাটাক করার জন্য সাতটি মিসাইল থাকবে। হাওয়া থেকে মাটিতে মারার জন্য চারটি, এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল একটি এবং পাঁচটি বোম লাগানো যাবে।

ভাল বিষয় হলো এটাই স্মার্ট টু ব্রহ্মস এনজি মিসাইল ও লাগানো যেতে পারে। এছাড়া নির্ভয়ে শ্যাডো, অস্ত্র, মিটিওর, অস্রাম এবং ক্রিস্টাল এর মতো মিসাইল লাগানো যাবে। এতে এই বিমান এর শক্তি প্রেসিশন গাইডেড বম লেজার গাইডেড বম প্লাস্টার বোম আন গাইডেড এবং স্পারমবম লাগানো যাবে।

তেজোস মার্ক টু এর গতি এবং এর মধ্যে লাগানো হাতিয়ার এর শক্তি, এর শক্তি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এটি এক সেকেন্ডে প্রায় এক কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। এই গতিতে যখন তেজস মার্ক টু শত্রুর উপর হামলা করবে তখন তাদের বাঁচার কোনও উপায় থাকবে না।

ভারত যে সমস্ত দেশকে পিছনে ফেলে মালয়েশিয়ার চুক্তি দখল করে নিয়েছে, তাতে ভারতের সমারিক অর্থনীতিও কিছুটা চাঙ্গা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় জেট অন্য দেশ কীভাবে ব্যবহার করে তাও দেখা যাবে।