তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রিপাব্লিক ডের প্যারেডে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন জনসন।
এর আগে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে এসেছিলেন ১৯৯৩ সালে। তার ২৭ বছরে কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ফের ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি আগামী বছর জি-৭ সামিটে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বরিস জনসন।
ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হওয়া নিঃসন্দেহে ভীষণই গর্বের বিষয়। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বরিস জনসন।
সামনেই ব্রেক্সিট, অন্যদিকে আমেরিকাতেও নয়া প্রশাসন আসতে চলেছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সেই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধুত্বকে ঝালিয়ে নিতে চাইছেন মোদী-জনসন।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে টেলিফোনে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। সেই সময় মোদী যেমন বরিসকে আমন্ত্রণ জানান, তেমনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে পরের বছর জি-৭ সম্মেলনে ব্রিটেনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
জনসন আমন্ত্রন গ্রহণের পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই ঘটনা ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্কে নয়া অধ্যায়ের প্রতীক হবে।
বর্তমানে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব ভারত সফরে রয়েছেন। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর ডমিনিক রাম বলেছেন, আমরা ভারতের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক মজবুত করত চাই। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।