এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন নিয়ে বারবার বহিরাগত তত্ত্ব খাড়া করছে তৃণমূল। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে বাংলার যোগ রয়েছে। নিজে হিমাচলের বাসিন্দা হলেও তিনি কিন্তু একেবারে বাঙলার জামাই।
গত সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা সফর নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অন্যদিকে হামলার ঘটনা মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার। উল্টে বিজেপির চক্রান্ত বলেই দাবি করছে নবান্ন। এই আবহে স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় লজ্জিত শ্রীমতী নাড্ডা। বিয়ের পর নাড্ডা হলেও তাঁর জন্ম কিন্তু বাঙালি পরিবারেই। তাই স্বামীর ওপর পশ্চিমবঙ্গে ঘটা এই হামলাকে ব্যক্তিগত লজ্জা হিসাবেই দেখছেন মল্লিকাদেবী।
জানা গিয়েছে নাড্ডার ঘরণী মল্লিকাদেবী আসলে বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে৷ তার বাবার নাম সুভাষ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মায়ের নাম জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়৷। চাকরি সূত্রে মল্লিকাদেবীর বাবা-মা মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে থাকতেন৷ সেখানেই মল্লিকাদেবীর জন্ম হয়৷ তাই তাঁর বেড়ে ওঠা বাংলার বাইরেই। রানি দুর্গাবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন মল্লিকা। সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত।
জানা যায় রীতিমত টোপর পরে বাঙালি কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ধুতি, মাথায় টোপর দিয়ে একেবারে বাঙালি বর সেজে ছাদনাতলায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা।
জেপি নাড্ডা বর্তমানে বিজেপির ১১ তম সর্বভারতীয় সভাপতি৷ তিনি ২০১৯ এর জুন থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন তিনি।
গত ১১ ডিসেম্বর ছিল নাড্ডার ২৯তম বিবাহবার্ষিকী। ওইদিন শ্রীমতি নাড্ডা সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতেই জানা যায় জেপি নাড্ডার বাঙালি যোগ।
তবে ডায়মন্ডহারবারে তাঁর স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় বাঙালি হিসাবে যে তিনি লজ্জিত, সেকথা গোপন করেননি মল্লিকা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের এরাজ্যে প্রচারে আসবেন বলেও জানিয়েছেন শ্রীমতি নাড্ডা।
মল্লিকার মা জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ছিলেন সাংসদও। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপও হয়েছিল জয়শ্রীদেবীর।
এবার বাংলার ভোটে তিনি ময়দানে নামবেন বলেই দাবি করছেন মল্লিকা নাড্ডা। তৃণমূলনেত্রী যে বহিরাগতের অভিযোগ তুলেছেন, তার জবাব দিয়েছেন মল্লিকাদেবী, বলেছেন, এটা তো দেখাতেই হবে যে আমরা বাঙালিরাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছি। বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচিয়ে রয়েছি।