
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন, শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে বর্ণাঢ্য ভোজের আয়োজন করা হয়। পুতিনের মেনু ছিল রকমারি খাবারে ঠাসা।

পুতিনের পছন্দ, কঠোর খাদ্যাভ্যাস এবং নিরাপত্তা বিধি বিবেচনা করে একটি বিশেষ এবং অত্যন্ত সুরক্ষিত মেনু সাজানো হয়। রান্নার ক্ষেত্রেও মানা হয় বিশেষ প্রোটোকল। পুতিনের খাবার পৃথক ভাবে প্রস্তুত করা হয় এবং প্রতিটি খাবার একাধিকবার চেখে পরীক্ষা করা হয়। তাই কৌতূহল তৈরি হয়েছিল এদেশে অতিথি হয়ে আসা পুতিনের মেনু নিয়ে।

মেনুর প্রথমেই ছিল দক্ষিণী স্যুপ মুরুঙ্গেলাই চারু। পাশাপাশি ছিল কাশ্মীরের পদ গুচ্চি দুন চেতিন, কালে চানে কে শিকামপুরী (একধরনের কাবাব)।

বিশেষ ভাবে নজর রাখে পুতিনের গালা ডিনারের মেনুতে থাকা নিরামিষ ঝোল মোমো আর সঙ্গে থাকা অভিনব চাটনি।

মেন কোর্সে ছিল জাফরানি পনির রোল, পালক মেথি মটর শাক, তন্দুরি ভারওয়ান আলু। আর ছিল আচারি বেইঙ্গন (বেগুন)। অর্থাৎ বাঙালির রোজকার পাতে থাকা বেগুন ভাজা!

এছাড়াও পুতিনকে পরিবেশন করা হয়, হলুদ ডাল তড়কা, জাফরানি পোলাও। রুটির মধ্যে ছিল লাচ্চা পরোটা, মিসসি রুটি, সাতনাজ রুটি ও বিস্কুটি রুটি।

এখানেই শেষ নয়। মিষ্টিমুখেরও অঢেল আয়োজন ছিল।ডেজার্টে ছিল, বাদামের হালুয়া, কেশর-পেস্তা কুলফি, গুড়-সন্দেশ, মুরাক্কু। সঙ্গে ছিল তাজা ফল, আচার, স্যালাড।

পানীয়র মধ্যে ছিল ডালিম, কমলা, গাজর এবং আদার রস। রাশিয়ার রাষ্ট্রনেতার জন্য আয়োজিত এই ডিনার পার্টি ভারতের সঙ্গে সে দেশের কূটনৈতিক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম একটি বিশেষ নিদর্শন হয়ে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতে পুতিনের ভোজ জমকালো হলেও তার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস বেশ সহজ সরল। পুতিন প্রায়শই তার সকাল শুরু করেন পরিজ এবং কটেজ পনির দিয়ে। তা তিনি খান মধুর সঙ্গে। তিনি ডিম ভাজা এবং তাজা ফলের রস পান করেন। প্রোটিনের জন্য তিনি মাছ খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে পছন্দ স্মোকড স্টারজন, যা তিনি লেবু এবং মাখনের সঙ্গে খান।

পুতিন ছোটবেলা থেকেই ভেড়ার মাংস পছন্দ করেন। সঙ্গে তাঁর পছন্দের তালিকায় পড়ে পেস্তা আইসক্রিমও।