Gujarat Shocker: ২৫ জন শিশু নিজেদের হাতে ব্লেড চালিয়ে দিল, কারণ খুঁজতে গিয়ে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য

স্কুলের ২৫ জন শিশুর হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা দাগের চিহ্ন পাওয়া গেল। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমরেলি জেলার মুঞ্জিয়াসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির ২৫ জনেরও বেশি শিশুর হাতে ব্লেড দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন পাওয়া যায়।

Advertisement
২৫ জন শিশু নিজেদের হাতে ব্লেড চালিয়ে দিল, কারণ খুঁজতে গিয়ে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্যস্কুলে ২৫ জন শিশুর হাতে ব্লেডের ক্ষত, যা নিয়ে তোলপাড়!পরে ফাঁস রহস্য
হাইলাইটস
  • পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে মামলাটি 'ট্রুথ অ্যান্ড ডেয়ার' গেমের সঙ্গে সম্পর্কিত
  • কোনও অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়

স্কুলের ২৫ জন শিশুর হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা দাগের চিহ্ন পাওয়া গেল। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমরেলি জেলার মুঞ্জিয়াসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির ২৫ জনেরও বেশি শিশুর হাতে ব্লেড দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন পাওয়া যায়। যার পর স্কুল ও গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছিল। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে তারা গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশের সাহায্য চান।

বিষয়টির গুরুত্ব দেখে স্থানীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার (এএসপি) জয়বীর গাধভি স্কুলে পৌঁছন। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে শিশুদের সঙ্গে রহস্য ফাঁস করেছেন। পুলিশের মতে, অনলাইন ভিডিও গেমের প্রতি আসক্তির কারণে এই ঘটনা ঘটেনি, বরং 'ট্রুথ অ্যান্ড ডেয়ার' খেলার সময় ঘটেছে। এএসপি গাধভি বলেন, একটি খেলার সময় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র অন্য শিশুদের চ্যালেঞ্জ করে যে, যে নিজের হাতে ব্লেড চালাবে সে ১০ টাকা পাবে এবং যে না করবে না তাকে ৫ টাকা দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জের কারণে ২৫ জনেরও বেশি শিশু পেন্সিল শার্পনারের ব্লেড দিয়ে তাদের হাতে কাটা দাগ তৈরি করেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) কে জানানো হয়েছে।

তদন্তে জানা গিয়েছে যে স্কুল প্রশাসন যখন এই ঘটনাটি জানতে পারে, তখন শিশুদের বাড়িতে কিছু না বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাতের দাগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে খেলতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার কথা বলতে বলা হয়েছিল শিশুদের। তবে, যখন একজন অভিভাবক সত্যটি জানতে পারেন, তখন তদন্ত শুরু হয়, যার পরে প্রশাসন অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিষয়টি গ্রামের সরপঞ্চ এবং অন্যান্য লোকদের কাছে পৌঁছয়, এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে মামলাটি 'ট্রুথ অ্যান্ড ডেয়ার' গেমের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কোনও অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। খেলা চলাকালীন বাচ্চারা শার্পনারের ব্লেড দিয়ে একে অপরের হাতে চিহ্ন তৈরি করত। যদিও এনিয়ে স্কুল প্রশাসনের গাফিলতি ও অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশ এবং শিক্ষা বিভাগ এখন এই ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছে।

Advertisement

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement