Nagpur Orange Damaged: নাগপুরের কমলা এই মরশুমে নাও পেতে পারেন। দার্জিলিংয়ের কমলার পাট তো কবেই চুকেছে। এবার নাগপুরের কমলাও হয়তো আপনাদের জুটবে না। নাগপুরের কমলা গোটা দেশেই নয় বরং গোটা দুনিয়াতে প্রসিদ্ধ। নাগপুরের কমলার নির্যাস বিদেশ পর্যন্ত পৌঁছয়। যার কারণে কৃষকদের আমদানি খুব ভালোই হয়। কিন্তু এই বছর নাগপুরে গরম, কমলালেবু কৃষকদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন। কারণ এ বছর কমলালেবু এবং মুসম্বি সময়ের আগেই মাটিতে পড়ে গিয়েছে। আসলে কমলালেবুর ফসল দুবার পাওয়া যায়। এই দু'বারের যে ফসল, তাই গোটা বছরের কৃষকদের আয় আসে। কিন্তু এ বছর মুসম্বি এবং কমলালেবুর সময়ের আগেই ঝরে যাচ্ছে। ফলে মাথায় হাত চাষিদের।
নারখোর আর কাটোল এলাকায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন
নাগপুরের দুটি এলাকায় নারখোর আর কাটোল এলাকায় সবচেয়ে বেশি কমলালেবু এবং মুসম্বি উৎপাদন হয়। কিন্তু ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের কমলালেবু-মুসম্বি ফলন নষ্ট হয়ে যায়। আবার বর্ষাকালেও অধিক বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার গরম অত্যধিক হওয়ায় ফসল পাকার সময় পাচ্ছে না। তার আগে গাছেই ছোট অবস্থাতে ঝরে যাচ্ছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ
নাগপুরের নারখোর জেলায় ১০,৭১২ হেক্টর জমিতে কমলালেবু চাষ হয়। অন্যদিকে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে মুসম্বি চাষ হয়। সেখানে অত্যধিক গরমের কারণে এবার ছোট অবস্থাতেই ফল পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণও এর দ্রুত ফল পড়ে যাওয়ার কারণ। পাশাপাশি এতে লেবুর আকারে ফল আসতেই তা পড়ে যায়। ওষুধ দিয়েও কাজ হয়নি।
এখন কাটোল এলাকায় আশপাশের কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা কমলালেবু, মুসম্বি ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা সরকারের ওপরই এখন নির্ভর করছেন। জমা পুঁজি দিয়ে তারা ফসল বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু ফসল যদি নাই ফলে, তাহলে বাঁচাবেন কীভাবে? কৃষকেরা জানাচ্ছেন যে এইভাবে মহারাষ্ট্র সরকার বাকি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়। একইভাবে নাগপুরে কমলালেবু, মুসম্বির নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ যদি না দেয় তাহলে সবাইকে ভাতে মরতে হবে। আর দেশের মানুষের কাছে এবার শীতে কমলা পৌঁছবে কি না, তা এখন বিশবাঁও জলে।