scorecardresearch
 

লোকসভায় জোট? নবীন-সাক্ষাত্‍ সেরে মমতা বললেন, 'একবছর তো দেরি আছে'

সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কালীঘাটে বাসভবনে বৈঠক করেছেন মমতা। এরপর পরই নবীনের সঙ্গে বৈঠক করলেন। নবীনের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় মমতার গলায়।

Advertisement
নবীন পট্টনায়েক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবীন পট্টনায়েক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রসের 'একলা চলো রে' নীতির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কংগ্রেসের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এহেন আবহেই আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। বৈঠক শেষে দুজনেই জানালেন, দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো যেন অটুট থাকে।

এদিন বৈঠক শেষে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অটুট রাখা দরকার। আমাদের দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সম্পর্ক ভাল। আমাদের দুই রাজ্য অনেক পুরনো বন্ধু।' অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমরা দেশের সুরক্ষা, গণতন্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের জনগণ যাতে সুরক্ষিত থাকে। এখনও নির্বাচন একবছর দেরি আছে। আমি হয়তো কিছু বিষয় সাপোর্ট করব না, উনিও হয়তো অনেক কিছু সাপোর্ট করবেন না। আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌঁছবো।' দুজনেই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাত্‍ বলেই দাবি করেন।

আরও পড়ুন:  'ওড়িশায় সাইক্লোন হলে বাংলাতেও প্রভাব পড়ে, কিন্তু নবীনজির নেতৃত্ব দারুণ,' ভূয়সী প্রশংসায় মমতা

সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কালীঘাটে বাসভবনে বৈঠক করেছেন মমতা। এরপর পরই নবীনের সঙ্গে বৈঠক করলেন। নবীনের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় মমতার গলায়। তাঁর কথায়, 'নবীনজিকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানালাম। ওড়িশায় সাইক্লোন হলে বাংলাতেও তার প্রভাব পড়ে। ওড়িশায় বিদ্যুত্‍ বিপর্যয় হলে বাংলাতেও তার প্রভাব পড়ে। নবীনজির গোল্ডেন লিডারশিপ। আমি কৃতজ্ঞ নবীনজির কাছে, বিশ্ববাংলা ভবন বাঙালি ট্যুরিংস্টদের জন্য ২ একর জমি দিলেন আমার হাতে পেপার তুলে দিয়েছেন।' 

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেই সরাসরি আক্রমণ করেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাহুলকে নেতা করার জন্যই বিজেপি কৌশল করে সংসদ অচল করে রেখেছে। তাঁর কথায়, 'রাহুল গান্ধী হচ্ছে মোদীর সব চেয়ে বড়...।  আর কিছু বললাম না, বুঝে নিন। সব চেয়ে বড় টিআরপি, সবাই বলে।'

Advertisement

কলকাতায় এসে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ইঙ্গিত দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে রায়বরেলি, আমেঠির মতো আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে না দিয়ে তাঁরাও প্রার্থী দেবেন কি না, এ বার ভেবে দেখা হবে। আমেঠির গত বার প্রার্থী হয়েও হেরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রায়বরেলির সাংসদ সনিয়া গান্ধী। অসুস্থতার কারণে আসন্ন লোকসভা ভোটে সনিয়া আর দাঁড়াবেন না এবং তাঁর কেন্দ্রে মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রার্থী হতে পারেন বলে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা। গান্ধী পরিবারের গড় রায়বরেলি ও আমেঠিতে প্রার্থী দিতে চাইছেন অখিলেশও। 

Advertisement