Sahitya Aaj Tak 2022 :'এক বিহারি, শ বিমারি' মন্তব্যের বিতর্ক মুখ খুললেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর দাবি, তিনি প্রয়াত শিবসেনা নেতা বাল ঠাকরে যে প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতেই বলেছেন। আজ অর্থাত্ শুক্রবার 'সাহিত্য আজতক ২০২২' (Sahitya Aaj Tak 2022)-এর মঞ্চে একাধিক বিষয়ে নিজের মত শেয়ার করলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
মুখ খুললেন মনোরঞ্জন
মনোরঞ্জন ব্যাপারীর 'এক বিহারি, শ বিমারি' মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল। বিতর্ক বিস্তর। আসানসোলে উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। সেই প্রসঙ্গটি আজ 'সাহিত্য আজতক ২০২২'-এর মঞ্চেও ওঠে।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী দাবি করেন, 'আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাজনীতির স্বার্থে বিরোধীরা এটা করেছিল। আমি যা বলেছিলাম, তা বাল ঠাকরেও বলেছিলেন। আমি বলতে চেয়েছিলাম, যে ভূমিতে আমি আছি। আমি কাজ করছি, রোজগার করছি। সেই দেশের বা ভূমির মানুষের নিন্দা করা ঠিক নয়। বাংলাতে থেকে রোজগার করলে, এখানে জীবন কাটালে, বাঙালিদের সম্মান করা ও ভালোবাসা উচিত।'
আরও পড়ুন: 'এক বিহারী...' মন্তব্যে মনোরঞ্জনের সাফাই, আক্রমণে শুভেন্দু
ব্রাহ্মণ্যবাদ, মনুবাদের বিরুদ্ধে
বাংলায় বিজেপি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তিনি মনুবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে। আরএসএস সেই মনুবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ-ই শুরু করেছিল। বিজেপি তার-ই শাখা। আরএসএস ও বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দলিতদের কাছে টানছে। আসলে তারা সেই দলিতদেরই পাশে দাঁড়াচ্ছে, যারা মনুবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ মেনে নিচ্ছে।
সাহিত্য আজতক-এর সূচনা
আজ 'সাহিত্য আজতক ২০২২'-এর প্রথম দিন। আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে সাহিত্য, সঙ্গীত, নাটক, থিয়েটার, কবিতা চর্চার মহামঞ্চ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী বলেন, 'দুবছর বিরতির পর আমরা ফিরেছি। তাই এবারের অনুষ্ঠান আরও আকর্ষণীয়। আপনাদের প্রিয় চ্যানেল আজতক-এর মতোই অ্যাকশন প্যাকড। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে পাঁচটি মঞ্চ এবং তিনশো শিল্পী তাঁদের প্রতিভা দিয়ে আমাদের সবাইকে সম্বৃদ্ধ করবে। শিল্পে কোনও ভেদাভেদ নেই। আপনাদের সহযোগিতার জন্য কবিতা, নাটক, গানের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম, যেমন ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার, অ্যাপ যাইহোক না কেন, আপনারা আমাদের সর্বত্র শীর্ষে রেখেছেন। যদিও বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসার কোনও হিসেব হয় না। সাহিত্য আজতকের মঞ্চে বই, সিনেমা নিয়ে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। কবিতার স্বাদ পাওয়া যাবে। উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্কও দেখা যাবে।'