বিরাট সাফল্য! LOC-তে ভারতীয় সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ৭ পাক অনুপ্রবেশকারী

জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৭ পাকিস্তানিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পাকিস্তানের কুখ্যাত বর্ডার অ্যাকশন টিমের জঙ্গিরাও রয়েছে।

Advertisement
বিরাট সাফল্য! LOC-তে ভারতীয় সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ৭ পাক অনুপ্রবেশকারীLOC-তে ভারতীয় সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা ৭ পাক অনুপ্রবেশকারী
হাইলাইটস
  • বর্ডার অ্যাকশন টিমকে এলওসি-তে গোপন হামলা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
  • পাকিস্তানের এই এজেন্সি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ওপর আগেও হামলা চালিয়েছে

জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৭ পাকিস্তানিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পাকিস্তানের কুখ্যাত বর্ডার অ্যাকশন টিমের জঙ্গিরাও রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৪-৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের অতর্কিত আক্রমণ ব্যর্থ করে। এ সময় ৭ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়। এই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ২ থেকে ৩ জন পাকিস্তানি সেনাও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে।

সূত্র আরও জানিয়েছে যে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (বিএটি) ভারতীয় পোস্টে অতর্কিতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তাদের রুখে দেয় ভারতীয় সেনারা। আসলে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা কুখ্যাত বর্ডার অ্যাকশন টিমের সহায়তায় ভারতীয় সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাতে চেয়েছিল। বিএটি হল আন্তঃসীমান্ত অপারেশনের জন্য বিশেষ ইউনিট।

বর্ডার অ্যাকশন টিমকে এলওসি-তে গোপন হামলা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের এই এজেন্সি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ওপর আগেও হামলা চালিয়েছে। আবারও তারা ভারতীয় সেনাদের টার্গেট করতে চেয়েছিল। নিহত সাতজনের মধ্যে ২-৩ জন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মী বলে সূত্র জানিয়েছে। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা সম্ভবত আলবদর গ্রুপের সদস্য। সূত্র জানায় যে ভারতীয় সেনারা এলওসি-তে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের দেখা মাত্রই গুলি করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর-সহ সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে চায়। মজার বিষয় হল, ওইদিনই জইশ-ই-মহম্মদ (জেএম) এবং লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কমান্ডাররা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) একটি সম্মেলন করেছিল, যা পাকিস্তানের ভণ্ডামির মুখোশ মুখোশ খুলে দেয়।

শরিফ জানিয়েছেন যে ভারত ও পাকিস্তানের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক মেরামত করার একমাত্র উপায় হল আলোচনা। যেমনটি ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছিল, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পাকিস্তান সফরের সময় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ভারত যদিও আগেও অনেকবার স্পষ্ট করেছে যে তারা সন্ত্রাস, শত্রুতা ও হিংসতামুক্ত পরিবেশে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক চায়। মুখে শান্তির বার্তার সঙ্গে বিষও উগরে দিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। তিনি ভারতকে অস্ত্র সঞ্চয় করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন, যা এই অঞ্চলে শান্তি আনবে না। তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন যে কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র সমাধান রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবের অধীনে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। পাকিস্তান বারবার কাশ্মীর সমস্যাকে রাষ্ট্রসংঘে তুলেছে। যদিও তারা এখানেও কুল পায়নি। কারণ বিশ্বের অন্য দেশ কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলেই মনে করে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement