বগটুই-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যসভায় ভেঙে পড়লেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রীতিমতো হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন বিজেপি সাংসদ। দাবি করলেন, ৭ দিনে ২৬টি রাজনৈতিক হত্যা করা হয়েছে বাংলায়। অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই।
রামপুরহাটের হিংসার ঘটনায় আজই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। লোকসভায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করে সরব হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার রাজ্যসভায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় চাইলেন রাষ্ট্রপতি শাসন। শুক্রবার রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরু আগে জিরো আওয়ারে বগটুই হিংসা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। বলতে উঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন রূপা।
বিজেপি সাংসদ বলেন,'পশ্চিমবঙ্গের কথা বলতে গেলে মাথা হেঁট হয়ে যায়। কতজন মারা গিয়েছেন? মাত্র ৮। দু'টি শিশুও রয়েছে। বেশি লোক মরেননি। জ্বালিয়ে মারা হয়েছে তাঁদের। পুলিশের উপরে ভরসা নেই। আনিস খানকে মারা হয়েছে। খুন হয়েছেন পানিহাটি, ঝালদায় কাউন্সিলররা। ৭ দিনে ২৬টি রাজনৈতিক হত্যা করা হয়েছে বাংলায়। উপপ্রধান ভাদু শেখকে মারার পর গণহত্যা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ওদের।'
এরপর হাউহাউ করে কেঁদে রূপা বলতে থাকেন, 'ওখান থেকে বাচ্চা, বুড়ো সবাই পালাচ্ছে। বেঁচে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশ। আমাদের রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। আমাদের বাঁচার অধিকার চাই। পশ্চিমবঙ্গে জন্ম গ্রহণ করে কোনও অপরাধ করিনি। এটা অপরাধ হতে পারে না। এটা দক্ষিণেশ্বর মা কালীর ভূমি। এখানে জন্ম নেওয়া কোনও অপরাধ নয়।'
অন্যদিকে, লোকসভাতে বগটুই নিয়ে সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদ বলেন,'বীরভূমের বগটুই গ্রামে ১০-১৫ জন মহিলা ও শিশুদের ঘরের দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষ সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। আজ সেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব তিনি যেন রাজ্যবাসীর করের টাকায় সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ না করেন।'
আরও পড়ুন- বিদ্রোহের জের! উপনির্বাচনের প্রচারে বাদ লকেট, কী বললেন BJP MP?