প্রবল সমস্যায় গ্রাহকরা-ক্ষুব্ধ কর্মীরাও, Blinkit-এ কী চলছে?

দিল্লি এনসিআর (Delhi NCR) অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্লিঙ্কইটের (Blinkit) পরিষেবা ব্যাহত। আর এর ফলেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু গ্রাহক। কোনও কিছু অর্ডার করার সময়, ব্লিঙ্কইট অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহারকারীরা একটি প্রম্পট অপশন দেখতে পাচ্ছেন। যেখানে বলা হচ্ছে, সার্ভিস সাময়িকভাবে বন্ধ বা উপলব্ধ নয়। 

Advertisement
প্রবল সমস্যায় গ্রাহকরা-ক্ষুব্ধ কর্মীরাও, Blinkit-এ কী চলছে?কর্মীদের বিক্ষোভ

দিল্লি এনসিআর (Delhi NCR) অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্লিঙ্কইটের (Blinkit) পরিষেবা ব্যাহত। আর এর ফলেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বহু গ্রাহক। কোনও কিছু অর্ডার করার সময়, ব্লিঙ্কইট অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহারকারীরা একটি প্রম্পট অপশন দেখতে পাচ্ছেন। যেখানে বলা হচ্ছে, সার্ভিস সাময়িকভাবে বন্ধ বা উপলব্ধ নয়। 

প্রসঙ্গত, গত বছর মোট ৪,৪৪৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ব্লিঙ্কইটের একটি বড় অংশের শেয়ার কেনে জোম্যাটো (Zomato)। সেই থেকেই ব্লিঙ্কইটের পেরেন্ট অর্গানাইজেশন হিসেবে রয়েছে এই ফুড ডেলিভারি সংস্থাটি। কিন্তু এবার সেই ব্লিঙ্কইটকে ঘিরেই জোর সমস্যা। দিল্লি এনসিআর অঞ্চলে, ব্লিঙ্কইটের গ্রাহকরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কারণ, এইমুহূর্তে ব্লিঙ্কইটের ডেলিভারি পার্টনাররা ধর্মঘটে (Strike) শামিল। তাদের দাবি, পুরনো পেমেন্ট সিস্টেম ফেরাতে হবে। আর এই প্রতিবাদের জেরেই, দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে জোম্যাটোর ব্লিঙ্কইট ইউনিটের প্রায় ৫০টি দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। 

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোম্যাটোর মালিকানাধীন ব্লিঙ্কইটের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ডেলিভারি পার্টনার এই মুহূর্তে বিক্ষোভে শামিল। সংস্থার বেতন কাঠামো পরিবর্তনের প্রতিবাদে, গত তিন দিন ধরে ধর্মঘটে শামিল কর্মীরা। কিন্তু আসল সমস্যাটি কোথায়? সমস্যা হল, পেমেন্ট কাঠামোর সাম্প্রতিক পরিবর্তন। যেখানে আগে ডেলিভারি পার্টনাররা, ডেলিভারি প্রতি ২৫ টাকা করে পেতেন। এখন তার বদলে পাচ্ছেন মাত্র ১৫ টাকা। অর্থাৎ, অর্ডার প্রতি ১০ টাকা কম। যেখানে গ্রাহকদের কাছে দ্রুত অর্ডার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডেলিভারি পার্টনাররা অনবরত ছুটে চলেছেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের ডেলিভারি প্রতি ১০ টাকা কেন কমিয়ে দেওয়া হল। এর জেরেই তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। 

আর নতুন এই বেতন কাঠামো নিয়ে, বিভিন্ন জায়গার একাধিক ব্লিঙ্কইট কর্মী মুখ খুলেছেন। তারা বলছেন যে, এর ফলে তাদের দৈনিক আয় প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কর্মীদের আরও দাবি, নতুন বেতন কাঠামো অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সেইসঙ্গে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, বেতন কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন শ্রমিকদের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনা করা হয়। 

Advertisement

ফলে, গোটা বিষয়টি বেশ গুরুতর। এর জেরেই, দিল্লি-এনসিআর এলাকার বেশিরভাগ অংশে ব্লিঙ্কইট অ্যাপ পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যখনই গ্রাহকরা কিছু অর্ডার দিতে যাচ্ছেন, তখনই “অতিরিক্ত চাহিদার কারণে, সাময়িকভাবে অনুপলব্ধ" বলে একটি অপশন তারা দেখতে পাচ্ছেন। 

এমনকি অনেক ব্যবহারকারী, এই সমস্যার কথা জানিয়ে টুইটও করেছেন। সেইসঙ্গে কেন পরিষেবা বন্ধ করা হল, এও জানতে চেয়েছেন সংস্থার কাছে। টুইটারে প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কইট অবশ্য বলেছে যে, কিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। তাই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ব্লিঙ্কইট জানিয়েছে, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে এটি অবশ্যই আপনাদের সমস্যার কারণ হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। আশা করছি আমরা খুব শীঘ্রই ফিরে আসব এবং আবার আপনাদের সঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারব।‘ 

তবে এটিই প্রথম নয়। এর আগেও জোম্যাটো তাদের বেশ কিছু পরিষেবাতে পরিবর্তন এনেছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে এই ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মটি তার ১০ মিনিটের ফুড ডেলিভারি পরিষেবা তাৎক্ষনিক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে লাভের মুখ দেখতে না পারার কারণেই মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় জোম্যাটো। 

অন্যদিকে, কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে খরচ কমানোর জন্য গত বছর সংস্থাটি প্রায় ৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করে। আর এখন ডেলিভারি পার্টনারদের পেমেন্ট কমানোর সিদ্ধান্ত, আসলে খরচ বাঁচানো এবং মুনাফা বৃদ্ধির কৌশল বলেই অনেকে মনে করছেন।

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement