ইসলামিক সাম্প্রদায়িক শক্তির সমর্থনে ওয়ানাড়ে জিতেছেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য এ বিজয়রাঘবন। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, মুসলিম সাম্প্রদায়িক জোটের সমর্থন ছাড়া রাহুল গান্ধী কি জিততে পারবেন?
ওয়েনাড়ের বাথেরিতে সিপিএমের পার্টির সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন বিজয়রাঘবন। সেখানে তিনি বলেন,'ওয়ানাডে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী- দু'জনেই জিতেছেন। রাহুল গান্ধী কার সমর্থনে দিল্লি পৌঁছলেন? ইসলামিক সাম্প্রদায়িক জোটের জোরালো সমর্থন ছাড়া ওঁরা কি জিততে পারতেন? তিনি এখন বিরোধী দলের নেতা, কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নেতা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ওঁর সভা-সমাবেশে সামনে-পিছনে কারা ছিল? তাঁরা হল সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িক চরমপন্থীরা। ওঁরাই কংগ্রেসের চালিকাশক্তি'।
উল্লেখ্য, এর আগে কেরলের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছিলেন, জামায়েত-ই-ইসলামির সমর্থনে নির্বাচনে লড়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
বিজয়রাঘবনের মন্তব্যে পাল্টা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল। তাঁর কথায়,'অমিত শাহ যখন আম্বেডকরকে অপমান করেছিলেন, তখন পিনারাই বিজয়নের সবার আগে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে ওঁর দলের পলিটব্যুরোর সদস্য এমন বিবৃতি দিচ্ছেন'।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সিনিয়র নেতা পিনারাই বিজয়ন একটি রাজনৈতিক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জামায়েত-ই-ইসলামির মতো একটি সংগঠনের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
বিজয়নের এই অভিযোগের পর কেরলে কংগ্রেস এবং বাম জোটের (এলডিএফ) মধ্যে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরদা। বিজয়নের অভিযোগ খারিজ করে কংগ্রেস দাবি করেছিল, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসল ইস্যু থেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বামেরা।