এখনও অনেক কৃষক গ্রামের মহাজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। সেই লোন শোধ করতে গিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্কের চেয়েও বেশি সুদ দিতে হয়। কৃষকদের যাতে এই সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য ১৯৯৮ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (KCC) চালু করেছিল। স্কিমটি ১৯৯৮ সালের অগাস্টে চালু হয়েছিল। এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চাষিরা ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কী ধরনের লোন পাওয়া যায়?
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কৃষকদের লোন দিয়ে থাকে। এর আওতায় চাষিরা অনেক ধরনের লোন নিতে পারেন। কৃষকরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই ধরনের লোন পান-
১ - শস্য লোন
২ - খামার পরিচালনা লোন
৩ - খামার মালিকানা লোন
৪ - কৃষি ব্যবসা
৫ - ব্রয়লার প্লাস স্কিম
৬ - হর্টিকালচার লোন
৭ - ফার্ম স্টোরেজ সুবিধা লোন
৮ - সেচ প্রকল্পের লোন
৯ - জমি ক্রয় প্রকল্প লোন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : CBI তাঁকে যেন গ্রেফতার না করে, হাইকোর্টে মামলা অনুব্রতর
কারা কিষাণ কার্ড পেতে পারেন?
যে কোনও কৃষক কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স হতে ১৮ বছর। সর্বোচ্চ বয়স ৭৫-এর মধ্যে হতে হবে।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি কী কী?
আপনি যদি কৃষক হন এবং ক্রেডিট কার্ড সুবিধা নিতে চান, তাহলে কিছু নথি প্রদান করতে হবে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য ভোটার আইডি কার্ড এবং প্যান কার্ড বা পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির মতো নথি প্রয়োজন। এ ছাড়াও জমির কাগজপত্রও থাকতে হবে।
আরও তথ্য
কৃষকরা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব কম সুদে কৃষকরা সহজেই তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এই কার্ড ৫ বছরের জন্য বৈধ। সরকার কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে দুই শতাংশ ছাড় দেয়। সময়মতো লোন শোধ করলে অতিরিক্ত তিন শতাংশ ছাড় পাবেন। সব মিলিয়ে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই ৪ শতাংশ সুদে লোন পেতে পারেন।
আরও পড়ুন : Interview Questions: কোন প্রাণীর দেহে ৩টি হৃৎপিণ্ড থাকে?
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
প্রথমত, ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কিষান ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানতে হবে। সেখানে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে গিয়ে নাম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। এরপরই আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ পেরোবে।