আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) জানিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনির জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ক্ষয়ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসে স্বস্তি পেলেও দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থাপনায় কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না পুলিশ প্রশাসন। আর সেই জন্যই এবার লালবাজারে তৈরি হল ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর-সহ বেশকয়েকটি দফতরের কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কোনওরকম বিপর্যয়ের খবর এলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই জন্যই এই কম্যান্ড সেন্টার বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও লালবাজারের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইনও।
এদিকে গোটা পরিস্থিরির ওপরে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অশনির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) ও ওড়িশা (Orissa) প্রশাসনের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংস্থাগুলিকে এই দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং যেকোনও প্রয়োজনে সাহায্যের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কোথায় কত এনডিআরএফ দল?
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে এনডিআরএফ-এর (NDRF) ৯টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে আরও ৭ টি দলকে। ওড়িশায় ১টি দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ১৭টি দলকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে ১২টি দল। স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে আরও ৫টি দলকে। এছাড়াও প্রয়োজনে আরও দল প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বইতে পারে ঝোড়ো বাতাস
এদিকে বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাকিনাড়া-বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে জানাচ্ছে আইএমডি (IMD)। তারপর সেটি কাকিনাড়া-বিশাখাপত্তনমের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হবে। এর জেরে অন্ধ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৯৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এবং ওড়িশা উপকূলে ৪৫-৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে ঝোড়ো বাতাস। এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না পাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - তৃষ্ণার্ত আধিকারিককে নিজের হাতে জল দিলেন নির্মলা, Video Viral