শ্রীনগরে বিতর্কিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রবিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বলা হচ্ছে রাহুল গান্ধীর বাড়ির বাইরে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি এবং ডিসিপি উপস্থিত রয়েছেন। একই সঙ্গে, পুলিশের এই পদক্ষেপের পর কংগ্রেসে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। একের পর এক কংগ্রেস নেতা পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁর বাসভবনে। রাহুলের বাড়িতে পৌঁছেছেন পবন খেদা, অশোক গেহলট, শক্তি সিং গোহিল, অভিষেক মনু সিংভি এবং জয়রাম রমেশ।
যদিও পুলিশ আগে পবন খেদাকে বাড়ির ভিতরে যেতে বাধা দেয়। পরে তাঁকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। পবন খেদা বলেন, রাহুল গান্ধীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার কি ভাবছে তিনি ভয় পাবেন? পুলিশের এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কংগ্রেস বলেছে, 'ভারত জোড়ো যাত্রা' করার কারণেই এসব করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের এই লজ্জাজনক কাজ প্রমাণ করে যে আদানি মামলা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই ধরনের অপকর্মে আমাদের সাহস আরও জোরদার হয়েছে, আমরা জবাব নিতে থাকব।' একই সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিজেপি কী করছে তা জানে না। তারা জানে না কাদের টার্গেট করছে?
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সিপি সাগরপ্রীত হুডা বলেছেন যে আমরা রাহুলের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। রাহুল গান্ধী ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে সফরের সময় তিনি অনেক মহিলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাঁরা রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছেন যে তাঁরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজন্য আমরা তাঁদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে নির্যাতিতরা ন্যায়বিচার পান।
রাহুলকে কেন নোটিশ দিল পুলিশ?
আসলে, শ্রীনগরে তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ দিনে রাহুল গান্ধী একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে আজও মহিলাদের যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এই বিষয়ে, দিল্লি পুলিশ ১৬ মার্চ রাহুল গান্ধীকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল। তাতে বলা হয়, রাহুল গান্ধীর উচিত দিল্লি পুলিশকে সব বিস্তারিত জানানো। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, কংগ্রেস নেতা এখনও দিল্লি পুলিশকে নোটিশের জবাব দেননি।