গত ২ বছরে বারেবারেই আলোচনায় এসেছে Dolo 650। মাথা ব্যথা হোক বা গায়ে ব্যথা, চিকৎসকরা প্রায়শই এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন। তবে সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। ফেডারেশন অফ মে়ডিক্যাল অ্যান্ড সেল্স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, একটি পিটিশন দাখিল করেছে। সেই পিটিশনে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস-এর একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, Dolo 650 প্রস্তুতকারী সংস্থা চিকিৎসকদের ১ হাজার কোটি টাকার উপহার দিয়েছিল। যদিও প্রস্তুতকারী সংস্থা Micro Labs-এর দাবি তাদের পিক সেলস ৩৫০ কোটি টাকা, তাহলে তারা কীভাবে হাজার কোটি টাকার উপহার দেবে। এই পিটিশনে শুনানির সময় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, তাঁর করোনা হয়েছিল, সেই সময় চিকিৎসক তাঁকে Dolo 650 খাওয়ার কথা বলেন।
জমজমাট বিক্রি Dolo 650-র
Dolo 650-র এতটাই চাহিদা দেখা যায় যে সংস্থা মার্চ ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সাড়ে ৩৫০ কোটিরও বেশি ট্যাবলেট বিক্রি করে। প্রতিদিন প্রায় ৫৫ লক্ষ ট্যাবলেট বিক্রি হয়। মনে করা হচ্ছে এই সবকটি ট্যাবলেটকে যদি একটির ওপর একটি রাখা হয় তাহলে তার উচ্চতা মাউন্ট এভারেস্টের ৬ হাজার গুণ এবং বুর্জ খলিফার ৬৩ হাজার গুণ হবে। এই পরিমান ট্যবলেট বিক্রি করে সংস্থার আয় হয় ৫৬৭ কোটি টাকা।
বিদেশি ওষুধকে দেয় টক্কর
জানা গিয়েছে, করোনাকালের আগে, ২০১৯ সালে Dolo 650-র মোট সাড়ে ৭ কোটি পাতা বিক্রি হয়। একটি পাতায় থাকে ১৫টি ট্যাবলেট। কিন্তু ২০২০ সালে ৯.৪ কোটি এবং ২০২১ সালে ১৪.৫ কোটি পাতারও বেশি বিক্রি হয় এই ওষুধ। করোনার আগে ২০১৯ সালে সমস্ত সংস্থা প্রায় ৫৩০ কোটি টাকার প্যারাসিটামল ক্যাটাগরির ওষুধ বিক্রি করে। ২০২১ সালে এই বিক্রি বেড়ে হয় ৯২৪ কোটি টাকা, তার মধ্যে শুধুমাত্র Dolo 650-ই বিক্রি হয় ৩০৭ কোটি টাকার। এর ফলে ভারতে সবচেয়ে বিক্রি হওযা জ্বরে ওষুধ হয়ে ওঠে Dolo 650। বিক্রির নিরিখে প্রথমে ছিল ক্যালপল (Calpol), যেটি তৈরি করে ব্রিটেনের একটি সংস্থা। ক্যালপলের বিক্রি ছিল ৪৮০ কোটি টাকার। ষষ্ঠ নম্বরে ছিল, ব্রিটেনের ওই একই সংস্থার বানানো ক্রোসিন (Crocin)।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে Micro Labs গড়ে তোলেন জিসি সুরানা। সংস্থার প্রধান দফতর বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। প্রথমে সংস্থাটি Dolopar তৈরি করতো, পের সেটিকে আপডেট করে তৈরি করা হয় Dolo 650।
আরও পড়ুন - সস্তায় সোনা কেনার সুবর্ণ সুযোগ, কাল থেকেই ছাড়, কত টাকা?