তেলঙ্গানার রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। তিনি নিহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এখনও পর্যন্ত ওই কারখানার আশপাশে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় পাশামাইলরম শিল্পতালুকের ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে পড়েছে। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। প্রাথমিক ভাবে কয়েকজন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে। এরপর দমকল করমীরা ঘটনাস্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তা যত এগিয়েছে, আরও দেহ উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
ঘটনার ভয়াবহ বর্ণনা দিয়ে তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিংহ জানান, বিস্ফোরণের অভিঘাতে কারখানাটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। সেখানে সেই সময় কাজ করা অনেক শ্রমিকের দেহ প্রায় ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ৯০ জন কাজ করছিলেন। গুরুতর আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণেই ওষুধের সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ইতিমধ্যেই ‘পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ’ তদন্ত চেয়ে তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে বিরোধী দল BRS।
অন্যদিকে, এদিন সকালেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তামিলনাড়ুর শিবকাশী। সেখানকার জনপ্রিয় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর। ঘটনায় ৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কারখানার ভিতরে নাগাড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েই যাচ্ছিল। বিস্ফোরণে ভয়াবহ আওয়াজে কান পাতা দায় ছিল। বাজির কারখানা হওয়ায় প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে।