scorecardresearch
 

G20 Summit: রাশিয়ার সঙ্গে 'বন্ধুত্বের' খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতকে?

রাশিয়ার প্রতি ভারতের নরম অবস্থানের সমালোচনা হয়েছে, এমনকী জি-২০-তেও ভারত তার অবস্থানে অনড়। ভারত জি-২০ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে যুদ্ধ বলার বিরোধিতা করে এবং বলে যে এটিকে 'চ্যালেঞ্জ' বা 'সংকট'-এর মতো শব্দ দিয়েই সম্বোধন করা উচিত। তবে ভারত এই শর্তে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। বেঙ্গালুরু বৈঠকে চিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করতে অস্বীকার করে। এমনকী যৌথ বিবৃতিতে যেখানে ইউক্রেনের ওপর রাশিরায় হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে, সেই অংশেও আপত্তি জানায় চিন। 

Advertisement
ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদী ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদী
হাইলাইটস
  • চলছে জি-২০ বৈঠক
  • নেই জাপানের বিদেশমন্ত্রী
  • রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের প্রভাব?

দিল্লিতে চলছে জি-২০ বৈঠক (G20 Summit)। তাতে অংশ নেননি জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি (Foreign Ministers Meeting g20)। তার জায়গায় জাপানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কেনজি ইয়ামাদা বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। জাপানের বিদেশমন্ত্রী সংসদীয় কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ বৈঠক এড়িয়ে যান। যার জেরে জাপানের কিছু সংসদ সদস্য তাঁর সমালোচনাও করছেন।

এখানে, ভারতের বিশ্ব নীতি এবং কূটনীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, যে তাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সর্বশেষ বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। ভারত প্রথম থেকেই চায় না যে জি-২০ (G20 2023) বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনও আলোচনা হোক। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার আলোচনাতেও ভারত দ্বিমত পোষণ করে। ভারত বলেছে যে জি-২০ উন্নয়ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য, এটিতে নিরাপত্তার বিষয়ে রূপান্তরিত করা উচিত নয়।

রাশিয়ার প্রতি ভারতের নরম অবস্থানের সমালোচনা হয়েছে, এমনকী জি-২০-তেও ভারত তার অবস্থানে অনড়। ভারত জি-২০ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে যুদ্ধ বলার বিরোধিতা করে এবং বলে যে এটিকে 'চ্যালেঞ্জ' বা 'সংকট'-এর মতো শব্দ দিয়েই সম্বোধন করা উচিত। তবে ভারত এই শর্তে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। বেঙ্গালুরু বৈঠকে চিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করতে অস্বীকার করে। এমনকী যৌথ বিবৃতিতে যেখানে ইউক্রেনের ওপর রাশিরায় হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে, সেই অংশেও আপত্তি জানায় চিন। 

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে তুলনা 
গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টোয়েন্টি বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। সেই সময়েও রাশিয়া ও চিন যৌথ বিবৃতিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। আপত্তি সত্ত্বেও আয়োজক ইন্দোনেশিয়া একটি যৌথ বিবৃতি জারি করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সেটির ওপর সমস্ত দেশ সম্মতও হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার সম্মুখীন হচ্ছে। বিবৃতিতে, দেশগুলি স্বীকার করেছে যে জি-২০ নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের একটি ফোরাম নয়, তবে এটা উল্লেখ করা হয় যে নিরাপত্তা সমস্যাগুলি বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। 

Advertisement

'ভারতের জন্য লজ্জার'
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর 'দ্য ওয়্যার'-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন জি-২০-র (G 20 Summit) বেঙ্গালুরু বৈঠকে যৌথ বিবৃতি জারি না হওয়া এবং রাশিয়ার ভারতের প্রশংসা করা, ভারতের জন্য লজ্জার বিষয়। তিনি বলেন, এটা ভারতের কূটনীতিতে বড় ধাক্কা। তিনি আরও বলেন, 'ভারতের কূটনীতি এখানে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে ভারতের ব্যর্থ হওয়া উচিত হয়নি। একটি আয়োজক দেশের জন্য, একটি অভিন্ন বিবৃতিতে সমস্ত সদস্য দেশকে রাজি করাতে না পারা একটি বন্ধু দেশকে যুদ্ধ শব্দে ক্ষুব্ধ করার চেয়ে বড় ব্যর্থতা'। 

রাশিয়ার ভারতের প্রশংসা করা ক্ষতিকারক
জি-২০-র বেঙ্গালুরু বৈঠকের পরে, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে একটি বিবৃতি জারি করে যে, রুশ-বিরোধী পশ্চিমী দেশগুলি জি-২০-তে উত্তেজনা করেছে। এই বিবৃতিতে, রাশিয়া ভারতের আয়োজনের প্রশংসা করে। তবে রাশিয়ার এই প্রশংসাকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছেন কোনও কোনও বিশ্লেষক। তাঁরা মনে করছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য ভারত সমস্ত জি-২০ দেশকে ক্ষুব্ধ করছে।

আরও পড়ুন - অবশেষে জামিন, ৪০ দিনের মাথায় মুক্তি নওশাদের


 

Advertisement