Sahid's Body Returning After 38 Years Of Death: ১৫ অগাস্ট সমস্ত গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে অমৃত মহোৎসব রূপে পালন করছে, সেখানে সিয়াচেন এর মৃত্যুবরণ করা এক শহিদ সেনার পার্থিব শরীর ৩৮ বছর পরে তার উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির বাড়িতে এসে পৌঁছবে। আমরা কথা বলছি ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টের জওয়ান চন্দ্রশেখর হরবোলার। যিনি ৩৮ বছর আগে মারা গিয়েছেন।
১৯৮৪ সালে সিয়াচেনে মৃত্যু হয় জওয়ানের
আসলে ২৯ মে ১৯৮৪ সালে সিয়াচেনের অপারেশন মেঘদূতের সময় হরবোলার মৃত্যু হয়েছিল বরফের ঝড়ে। সে সময় ১৯ জন জওয়ান বরফেই কবরে চলে গিয়েছিলেন। তাদের দেহ আর উদ্ধার করা যায়নি। যার মধ্যে পরে ১৪ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও আরও পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। এরপরে সেনারা চিঠি দিয়ে তাদের চন্দ্রশেখরের বাড়িতে তার শহিদ হওয়ার সূচনা পৌঁছে দেয়। এরপর মৃতদেহ ছাড়াই পাহাড়ি রীতি রেওয়াজ অনুসারে পরিবারের লোকজন তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পরিবার।
সিয়াচেনের গ্লেসিয়ারের বরফ গলতেই দেহ সামনে আসে
এবার যখন সিয়াচেনের গ্লেসিয়ারের বরফ গলা শুরু হয়েছে তখন নিখোঁজ সৈনিকদের খোঁজ শুরু হয়। এরই মধ্যে শেষবার খোঁজ করতে গিয়ে আরও একটি সৈনিকের দেহ পাওয়া যায়। যার মধ্যে যা ল্যান্সনায়ক চন্দ্রশেখর হরবোলার লাশ, গ্লেসিয়ারের উপর তৈরি করা একটি পুরনো বাংকারে পাওয়া যায়। তার পরিচয় উদ্ধার করতে তার পোশাকের তকমা সাহায্য করে। মধ্যে থাকা নম্বর ৪১৬৪৫৮৪ অঙ্কিত ছিল।
২৮ বছর বয়সে গিয়েছিলেন অপারেশনে
সেনার ল্যান্সনায়ক চন্দ্রশেখর হরবোলার বয়স তখন শুধু ২৮ বছর ছিল। সেখানে তার বড় মেয়ে ৮ বছর এবং ছোট মেয়ে ৪ বছরের ছিল। স্ত্রীর বয়স ছিল ২৭ বছরের কাছাকাছি।
রাজকীয় সম্মান নিয়ে শেষকৃত্য
এখন ৩৮ বছর পরে শহিদ চন্দ্রশেখর এর পার্থিব শরীর সিয়াচেনের বরফের ভিতরে মেলে। যার ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতার দিনই তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে তার ফের অন্তিম সংস্কার করা হবে।
মৃত্যুর পরে মুখ দেখতে পাননি স্ত্রী
হালদোয়ানি শহিদ চন্দ্রশেখর হরবোলার ঘরে যখন পৌঁছয় আজতকের টিম, তখন তাঁর স্ত্রী শান্তিদেবী (যার বয়স এখন ৬৫) বছর তার চোখে জল শুকিয়ে গিয়েছিল। কারণ তিনি জানতেন যে তার স্বামী এখন আর এই পৃথিবীতে নেই। আক্ষেপ শুধু এটুকুই ছিল যে শেষ সময় তিনি তার মুখটি দেখতে পাননি। সেখানে তার মেয়ে কবিতা পান্ডে (৪৮) জানান যে পিতার মৃত্যুর সময় তিনি এত ছোট ছিলেন যে ভালো করে অনেক কিছু মনেই পড়ে না। এই পরিস্থিতিতে তা নিজের বাবার যতটুকু স্মৃতি ছবি দেখেই। এখন যখন তার পার্থিব শরীর বাড়িতে পৌঁছবে তখন তিনি আবার ৩৮ বছর পুরনো দেহের অবয়ব দেখবেন।