গত সপ্তাহে দেশের উত্তর ভাগের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প (Earthquake) হয়েছে। তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে রাজস্থানের বিকানেরে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। আর হায়দ্রাবাদেও ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.০। দেশের কোন কোন অংশ ভূমিকম্পপ্রবণ, তার একটা তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ৫৯ শতাংশ এলাকা তার মধ্যে পড়ছে।
লোকসভায় পেশ
এই তথ্য়ের কথা লোকসভায় জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং সংসদে সে কথা জানিয়েছেন। এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্প (Earthquake) হওয়ার প্রবণতা বিচার করে দেশকে ৫টি অঞ্চল বা সিসমিক জোন (Seismic Zone)-এ ভাগ করা হয়েছে।
কে কোথায় দাঁড়িয়ে
সিসমিক জোন (Seismic Zone)-৫ সবথেকে সক্রিয় অঞ্চল। আর সবথেকে কম সক্রিয় হল জোন-২। দেশের ১১ শতাংশ অংশ রয়েছে সিসিমিক জোন (Seismic Zone)-৪-এ। সিসমিক জোন-৩-এর মধ্যে পড়ছে দেশের ৩০ শতাংশ অংশ। আর বাকি অংশ রয়েছে জোন (Seismic Zone)-২-এ।
দেখুন- PHOTOS : ১ টাকায় ১ পোয়া দুধ! ঢকঢক করে খাচ্ছে ছেলেপিলে
কী ভাবে তৈরি তালিকা
এই তালিকা তৈরি হয়েছে বেশ কিছু জিনিসকে মাথায় রেখে। এর মধ্যে রয়েছে সেখানকার ভূমিকম্প (Earthquake)-এর ইতিহাস। এবং ভূমিকম্পের স্থলগতি।
১১৫ কেন্দ্র
ভূমিকম্প মাপার জন্য সারা দেশে রয়েছে ১১৫টি কেন্দ্র। জাতীয় ভূমিকম্প অনুসন্ধান কেন্দ্র (National Centre for Seismology)-এর অন্তর্গত জাতীয় ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক (National Seismological Network)-এর তত্ত্বাবধানে কাজ করে সেগুলি। আর সেই তথ্য তারা পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রক বা দফতরের কাছে। যাতে ভূমিকম্প হলে সেখানে ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজ দ্রুত শুরু করে দেওয়া যায়।
২০২০ সালের ভূমিকম্পের সংখ্য়া
সরকার জানিয়েছে, ২০২০ সালে রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার কম ৯৬৫টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে সেই সংখ্যা ১৩।
কোন শহর কোন অঞ্চলে
জোন-৫-এর মধ্য়ে পড়ছে ভুজ, দ্বারভাঙা, গোয়াহাটি, তেজপুর, শ্রীনগর, সাদিয়া, পোর্ট ব্লেয়ার, মান্ডি, কোহিমা এবং জোরহাট।
জোন-৪-এর মধ্যে যে শহরগুলি পড়ছে, সেগুলি হল- আলমোড়া, জলপাইগুড়ি, কলকাতা, লুধিয়ানা, মুঙ্গের, মোরাদাবাদ, পাটনা, পিলভিট, শিমলা, রুরকি, আম্বালা, অমৃতসর, বাহারাইচ, বারাউনি, বুলন্দশহর, চণ্ডীগড়, দার্জিলিং, দেহরাদুন, দেওরিয়া, দিল্লি, দিনাজপুর, গাজিয়াবাদ, গ্যাংটক এবং গোরক্ষপুর।