ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩ (India Today Conclave 2023)-এর আজ দ্বিতীয় ও শেষদিন। এবারের কনক্লেভে স্পেশাল হল, বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের এটি ২০তম সংস্করণ।
নিউজের দুনিয়ায় ইতিহাস। দেশে এই প্রথম AI নিউজ অ্যাঙ্কার লঞ্চ করল Indiatoday গ্রুপ। Indiatoday গ্রুপের ভাইস চেয়ারপার্সেন কলি পুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সেই AI অ্যাঙ্কার সানার সঙ্গে আলাপ করান। সানা কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। AI অ্যাঙ্কার সানা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, করোনার সময়েও একাধিক নির্বাচন হয়েছে, সফল হয়েছে। বিশ্বমন্দার মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি আজ মজবুত। ব্যাঙ্কিং সেক্টর মজবুত। এটাই আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি। আমাদের শক্তিশালী গণতন্ত্রও তার সাফল্য কিছু মানুষের সহ্য হচ্ছে না। তবু আমার বিশ্বাস, ভারত এসবের মধ্যেও এগিয়ে যাবে। সাফল্য পাবে। সবার প্রচেষ্টাতেই ইন্ডিয়া মোমেন্টকে শক্তিশালী করতে হবে আমাদের। অরুণজি ও ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীকে আবার ধন্যবাদ। ২০২৪ সালে নিমন্ত্রণের যে সাহস দেখালেন, তার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, গরিব মহিলা নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করছেন। এটাই তো ভারতের সময়। একসময় কৃষকরা ঋণে ডুবে যেতেন। এখন পিএম কিষাণ যোজনায় সরাসরি সব কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। যে কোনও দেশের উন্নতিতে নীতি নির্ধারণে সিদ্ধান্তহীনতা বড় বাধা হয়ে যায়। কিছু পরিবারের সীমাবদ্ধতার জেরে আমাদের দেশেও একসময় এই বাধা ছিল। আজ দেশবাসীর আস্থা তৈরি হয়েছে, সরকার তাদের কথা ভাবে। আমরা সংবেদনশীলতা এনেছে সরকারি কাজে। একটা সময় সীমান্তবর্তী গ্রামকে দেশের অন্তিম গ্রাম মানা হত। আজ আমরা ওই গ্রামগুলিকে দেশের প্রথম গ্রাম হিসেবে দেখি। আজ ওই গ্রামগুলিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা যান। একটা সময় উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক ছিল না। আমি নিজে উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫০ বার গেছি এখনও পর্যন্ত। এই ধরনের সংবেদনশীলতার জেরে শান্তি ফিরেছে উত্তর-পূর্বে। ইউক্রেনে যুদ্ধ যখন শুরু হল, বহু পরিবার তাঁদের সন্তান, আত্মীয়দের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। আমাদের সরকারের প্রতিনিধিরা ওই পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকার যদি সংবেদনশীল না হত, আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জিততে পারতাম না। আজ দুনিয়া দেখছে, গণতন্ত্রের শক্তি।
মোদী বললেন, ২০১৪ সালের আগে খবরের কাগজে শুধু হেডলাইনে থাকতো দুর্নীতির খবর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের খবর। শহরে বোমাবাজি, নক্সাল হিংসার খবর হত। আজ উন্নয়নের খবর বেশি হয়। এক সময় ট্রেনের দুর্ঘটনার খবর আসতো। এখন নয়া অত্যাধুনিক ট্রেন চালুর খবর আসে। এই বলটাই এনেছে, ভারতের সময়। আসলে যখন শুভ কিছু হয়, কালো টিকা লাগানো হয়। বর্তমানে এত শুভ কাজ হচ্ছে, কিছু মানুষ কালোটিকা লাগাতে ব্যস্ত। যাতে নজর না লেগে যায়।
কিছুক্ষণ আগেই ভারত-বাংলাদেশ গ্যাস পাইপলাইন সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল। আজ দেশ যেমন পরিকাঠামোয় এগিয়ে চলেছে, তেমনই ভারতীয় সংস্কৃতিও বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল। ভারতীয় সিনেমা থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদ, বিশ্ব আজ বুঝতে পারছে ভারত শক্তিশালী। ঠিক সেই কারণেই গোটা বিশ্ব বলছে, এই সময়, ভারতের সময়।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ১০০ বছরের সবচেয়ে বড় মহামারি এল। দুটি দেশ এখন যুদ্ধ করছে। গোটা দুনিয়া আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। এরকম স্থিতিতে ইন্ডিয়া মোমেন্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা গর্বের। আজ গোটা দুনিয়া ভারত নিয়ে আস্থায় ভরপুর। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা অর্থব্যবস্থা। আজ ভারত সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ডেটা ইউজার। দুনিয়ার দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের সবাইকে আমার নমস্কার। দেশ বিদেশ থেকে যে দর্শকরা ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন, তাঁদেরও নমস্কার। আজ দুনিয়ার তাবড় অর্থনীতিবিদ, চিন্তাবিদরা বলেন, বর্তমান সময়, ভারতের সময়। কিন্তু যখন ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ যখন এটা বলে, তখন তা স্পেশাল। যদিও আমি ২০ মাস আগে লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম, এটাই সময়। সঠিক সময়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে স্বাগত জানালেন ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও এডিটর ইন চিফ অরুণ পুরী।
India Today Conclave 2023-এর ২০তম সংস্করণে মঞ্চে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই এবারের কনক্লেভের গ্র্যান্ড সমাপ্তি হবে।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এর ২০তম এডিশনে একটু পরেই মঞ্চে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'আইকন অফ ইন্ডিয়া' শীর্ষক আলোচনায় বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদের শিরোনামে থাকেন বলিউড জুটি মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুর। নিজেদের সম্পর্ক নিয়েও লুকোছাপা করেন না তাঁরা। জুটির রোমান্টিক রসায়ন অনুরাগীতদের মন জয় করেছে বহু বার। এবার কি যাচ্ছে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন অর্জুন -মালাইকা? অভিনেত্রী জানালেন, বিয়েটা খুবই ব্যক্তিগত বিষয় তাঁর জন্যে। মালাইকার কথায়, অর্জুনের সঙ্গে এখন 'প্রি- হানিমুন পিরিয়ড কাটাচ্ছি'।
মালাইকা অরোরা বললেন, "আমায় 'সেক্স সিম্বল' বললে ভালই লাগে। তবে আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগী। আমার থেকেও কম বয়সী, সুন্দরীরা আছে। সিঙ্গেল মাদার, ডিভোর্সি এই সব কিছুই আছে...তাও এগিয়ে যাচ্ছি।"
শুক্রবার শুরু হয়েছে ইন্ডিয়া টুডে কলক্লেভ ২০২৩ (India Today Conclave 2023)। ১৭ ও ১৮ মার্চ, দু'দিন ব্যাপী চলছে কনক্লেভের ২০তম এডিশন। এবারের থিম 'দ্য ইন্ডিয়া মোমেন্ট'। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও তাবড় ব্যক্তিত্বরা নিজেদের মত বিনিময় করছেন এই মঞ্চে। দ্বিতীয় দিন মঞ্চে হাজির মালাইকা অরোরা ।
কলি পুরীর কথায়, একটি প্রচার করা হচ্ছে, মিডিয়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গদি মিডিয়া নামে একটি কথা ভীষণ চলছে। আমাকে অনেকে জিগ্গেস করেন, মিডিয়ার উপর নানা মহল থেকে চাপ আসছে? হ্যাঁ, চাপ আসে। চাপ থাকে। বলা উচিত, এখন চাপ অনেক বেশি অর্গানাইজড। ডিজিটাল চাপ। কিন্তু এই চাপ শুধু মিডিয়া ঝেলছে না। আমরা আর কোনও ব্যবসা করি না। অন্য কোনও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করি না। আমরা এই চাপ সামলাই কারণ, আমাদের দুর্দান্ত টিম রয়েছে। প্রতিভাবান জার্নালিস্টরা রয়েছেন আমাদের সংস্থায়।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের মঞ্চে ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারপার্সন কলি পুরী বললেন, এই ২০টি কনক্লেভেই আমি অংশ নিয়েছি। আমি ভাগ্যবান। ২০ বছর আগে ১৬ জন স্পিকার ছিলেন। আজ ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ বিরাট। তিনি লঞ্চ করলেন আজতক AI। সব ভাষায় খবর পড়বে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রোবট অ্যাঙ্কর শানা।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এসে স্পাইসজেট-এর সিইও অজয় সিং করোনা মহামারী চলাকালীন তাঁর তিনটি বিশেষ অভিজ্ঞতা-শিক্ষা শেয়ার করেন। ওই তিনটি শিক্ষা বা অভিজ্ঞতাগুলি হল, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, সঙ্কটে সঠিক সুযোগের সন্ধান করা এবং যে কোনও বিপর্যয়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া। তিনি বলেন, কখনই এমন অনুমান করবেন না যে, সবচেয়ে খারাপ কোনও পরিস্থিতি বা ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটবে না। বরং, অটোমেশনের গুরুত্ব বুঝে যে কোনও রকম খারাপ পরিস্থিতির জন্য সকলের প্রস্তুত থাকা জরুরি।
ইন্ডিয়ান হোটেলের এমডি-সিইও পুনীত ছাটওয়াল, পিভিআর সিএমডি অজয় বিজলি এবং স্পাইসজেটের সিইও অজয় সিং ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এর মঞ্চথেকে জানালেন কোভিড মহামারি পেরিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা এবং পরবর্তিতে সমৃদ্ধিলাভের চাবিকাঠি সম্পর্কে। এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান হোটেলের এমডি এবং সিইও পুনীত ছটওয়াল বলেন, কোভিড মহামারী, এই ভাইরাস মানব সভ্যতার উপর বড়সড় জঙ্গি হামলার মতোই ঘটনা।
প্রান্তিক ও গরিবদের অবহেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: চিদম্বরম; করোনার সময়ের থেকে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কমে গিয়েছে, এই পরিসংখ্যান বোঝায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: নীলকান্ত
আর্থিক বৃদ্ধি এগিয়ে থাকলেও মাথা পিছু আয়ে আমরা এখনও চিনের থেকে পিছিয়ে: চিদম্বরম
বিচারকদের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে CJI বলেন, 'আমার কাজ নিয়ে আমি খুশি। আর কেউ যদি নিজের কাজ নিয়ে খুশি না হন তাহলে জানতে হবে, লোভের কোনো সীমা নেই। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চাকরিটা ভালো। অবস্থাও ভালো। তবে আরও ভালো হতে পারে।'
'কোনও মামলা কখনও খুব বড় বা কখনও খুব ছোট হয় না। নাগরিকদের ছোটো ছোটো দুঃখ-দুর্দশাকেও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে শুনি। সেই মতো আদেশও দেওয়া হয়। প্রতিটি জায়গা থেকে প্রচুর কিছু শেখার আছে।'
আমরা কি এই বিশ্বজগতে একা? প্রাণ কি কোথাও নেই? এতে, অনিতা সেনগুপ্তর দাবি, আমার বিশ্বাস আমরা একা নই। আমি রিসার্চ করতে গিয়ে দেখেছি বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা। সেখানে আমরা কিছু প্রাণের সন্ধান পেয়েছি।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ দিব্যা গোকুলনাথ বলেন, "যুদ্ধ চিরকাল স্থায়ী হয় না। সুদের হার চিরকাল বাড়বে না। কিন্তু ভারতের বৃদ্ধির গল্প চলতেই থাকবে।"
Byju's-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বাইজু রবীন্দ্রন এবং দিব্যা গোকুলনাথ, ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ এসে ভারতে বড় স্বপ্ন দেখার বিষয়ে নিজেদের ভাবনাচিন্তা শেয়ার করেছেন।
নাসার প্রাক্তন বিজ্ঞানী অনিতা সেনগুপ্ত পৃথিবীতে বৈদ্যুতিন প্লেন উদ্ভাবনের বিষয়ে কথা বলেন। মঙ্গল গ্রহে অবতরণ এবং পৃথিবীতে বৈদ্যুতিন প্লেন আবিষ্কারের বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করছেন।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ তরুণ প্রজন্মের মানসিক অবসাদ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী প্রণবী খন্দকার বলেন, "থেরাপি এবং ওষুধ আমাকে আজ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। এটা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে আমার উদ্বেগ, মানসিক অবসাদের মোকাবেলা করা উচিত।"
এডুকেটর এবং লেখক আভা অ্যাডামস তরুণ প্রজন্মের বাড়তে থাকা হতাশার সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, "গত ২০ বছরে সত্যিই এর প্রভাব বেড়েছে। তরুণ প্রজন্ম ভেঙে পড়লে সমাজও ভেঙে পড়ে।"
"তরুণ প্রজন্মের সুখী জীবনযাপন জরুরি। এই সুখ সম্পর্কে একটা প্রচলিত ধারণা আছে। এর সঙ্গে বাবা-মায়েরা সন্তানের বিশেষ ক্ষমতা বা যোগ্যতা বুঝতে দেখতে ব্যর্থ হন।"
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ যোগ দিয়ে মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী প্রণবী খন্দেকার জানলেন কীভাবে তিনি নিজের মানসিক অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। খোলামেলা আলোচনায় তিনি বলেন, "এটি বাস্তব পরিস্থিতি থেকে মুখ ফিরিয়ে পালানোর চেষ্টা করার মতোই। এটা অনেকটা একগুচ্ছ তার একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে-পেঁচিয়ে জট পাকিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। আমার দম বন্ধ হয়ে আসত এবং খুব হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম।"
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের কথায়, এটা নির্ভর করে ব্যক্তির উপরে। কোনও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অবসরের পরে অন্য কোনও দায়িত্ব সামলাতেই পারেন। আমার ইচ্ছে হতেই পারে, বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছি এতদিন, এবার অধ্যাপনা করব। সুতরাং কোনও বিচারপতি অবসরের পরে যদি সাংসদ হন বা অন্য কোনও দায়িত্ব নেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
প্রাক্তন সিজেআই ললিত বললেন, আসলে যখন একজন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়, কলেজিয়াম অনেক বিষয় খতিয়ে দেখে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন, কী কী ধরনের রায় দিয়েছে। যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে একজন বিচারক নিয়োগ করা হয়।
কলেজিয়াম সিস্টেম নিয়ে প্রাক্তন সিজেআই ইউ ইউ ললিতের কথায়, আমরা যখন বিচারকের আসনে বসি, আমরা শপথ নিই, ভারতের আইন ও সংবিধান মেনেই চলব। কোলেজিয়াম সিস্টেম আদর্শ সিস্টেম।
প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি ইউ ইউ ললিতের কথায়, সব আদালতই স্বাধীন। সিদ্দিক কাপ্পান ও তিস্তা শীতলওয়াড়, ভারভারা রাও-- এই সব ক্ষেত্রেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আসলে বিচারপতিকে বাইরে থেকে সমালোচনা করা যতটা সহজ, একজন বিচারপতির কাছে সংশ্লিষ্ট মামলার সঠিক রায় দেওয়াটাও ততটাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের কথায়, আমি যে দিন প্রধানবিচারপতির দায়িত্ব নিলাম, সেদিন শুনলাম ৫৪টি মৃত্যুদণ্ডের মামলা বকেয়া রয়েছে শুনলাম। আমি বলেছিলাম, আমরা কম করে ৩ জন করে বিচারপতিদের একটি করে বেঞ্চ তৈরি করলাম। সিদ্দিক কাপ্পান মামলা প্রসঙ্গে প্রাক্তন সিজেআই ললিত বললেন, 'জামিনের বিষয়টি আসলে বিচারকের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। জামিন দিতে গেলে অনেকগুলো বিষয় খতিয়ে দেখতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তদন্তকারী সংস্থা আদালতে দাবি করে, আরও তদন্ত জরুরি। তখন জামিন দিতে গিয়ে চিন্তা করতে হয়।'
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বোবদের বাইক রাইডিং বিতর্ক নিয়ে বললেন, আমাকে একটি হার্লে ডেভিডসনে বসেছিলাম। একজন ছবি তুলেছিলেন। আমি বাইকটি চালাইনি। তবে এটা ঠিক, ওই যুব সমাজে আমি বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলাম।
প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি বোবদের কথায়, আদালতে যা কিছু ঘটে, তার দায় সম্পূর্ণ বিচারপতির। কিন্তু কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে সমস্যাটা তৈরি হয়।
প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি বোবদের কথায়, কোলেজিয়াম সিস্টেমের জেরেই আমরা আমি প্রধানবিচারপতি থাকার সময়ে সবাই মিলে কোনও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি। সেই কারণে আমার সময়ে টানা ১৮ মাস কোনও বিচারপতি নিয়োগ করা যায়নি সুপ্রিম কোর্টে।
কাশ্মীরে ধারা ৩৭০ ওঠার পরে অশান্তিতে বহু মানুষকে দিনের পর দিন হাজতে কাটাতে হয়েছে। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বোবদে বললেন, এটা ছিল অতিমারির সময়। কয়েকশো মামলা আদালত শুনানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু মামলার পার্টিরা অতিমারির জন্য রাজি হননি।
প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি বোবদের কথায়, 'প্রধানবিচারপতি যখন কোনও বেঞ্চ গঠন করেন, তা সম্পূর্ণ তিনি নিজে তৈরি করেন। এরমধ্যে কোনও রকম রাজনৈতিক চাপ থাকে না। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ।'
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বোবদে বললেন, 'সমস্যা তৈরি হচ্ছে কিছু মানুষের কিছু কর্তব্য জ্ঞানহীন মন্তব্য থেকে। আসলে এই পদে কোনও মুকুট থাকে না মাথায়। আমি বলব, রাজনীতির তকমা যেকোনও কিছুকে দেওয়া যায়। রাফাল রায়, অযোধ্যা রায়ের সঙ্গে কোনও রাজনীতি জড়িত নেই। অযোধ্যা মামলাটি চলছি স্বাধীনতা আগে থেকে। আমরা রাজনীতিতে জড়িত থাকি না। আমাদের কাছে মামলা আসে। এর মধ্যে কীসের রাজনীতি?'
দেশের ভাবমূর্তি কেউ নষ্ট করতে চাইলে বরদাস্ত করা হবে না। জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, 'আমাকে দায়িত্নপূর্ণ কাজ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেই কারণে, আমরা চাই না কেউ এমন কোনও কাজ করুক যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। যদি কেউ সেটা করার চেষ্টা করে তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না।'
বিরোধীদের একহাত নিলেন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মতো নেতা বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। এই অভিযোগ মিথ্যে। কারণ, দেশের বিচাচর ব্যবস্থা শক্তিশালী। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যাঁরা এসব বলছেন তাঁরা নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারছেন।
সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছে সেটা দেখতে হবে। এখন বিষয়টা সুপ্রিম কোর্টে আছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নিয়ে অথরিটি রয়েছে। তবে যদি বিয়েকে একটা প্রতিষ্ঠান ধরা হয় তাহলে মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ এখন মঞ্চে উঠেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনন্যভাবে স্থিতিশীল, বলেছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, 'যখন এটি ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আসে, এটি একটি অনন্যভাবে স্থিতিশীল সম্পর্ক। স্থিতিশীলই রয়েছে। রাশিয়া এশিয়ার দিকে আরও বেশি ঘুরবে।'
জয়শঙ্কর বলেন, 'যখন আপনি বিস্তৃত জাতীয় শক্তির কথা বলেন, তখন কেউ বিতর্ক করবে না যে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা কম পড়েছি। এই দেশটি আজ চেষ্টা করছে। এটি একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এই দেশ, সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠছি। এবং দ্রুত। সমাজ পরিবর্তিত হয়েছে এবং অন্যভাবে মিথস্ক্রিয়া করছে। আমরা সম্পূর্ণভাবে উঁচুতে দাঁড়িয়েছি। এটা আমাকে ক্ষুব্ধ করে যখন আলোচনা হয় যে আমরা একটি পরিষেবা অর্থনীতি। যখন আমরা মেক-ইন ইন্ডিয়া প্রতিরক্ষার উপর জোর দিচ্ছি, তখন আমরা নিজেদের আবিষ্কার করছি। আমরা এই দশকের শেষ পর্যন্ত তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হিসাবে শেষ করব।'
ভারতের উত্থানের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, 'আমি মনে করি আমরা আজ নিজেদেরকে সেট করেছি। চিন তা করেছে। আমাদের চিনের মতো গভীর শিল্প শক্তি বা প্রযুক্তি নেই। দেশগুলিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য গভীর শক্তি তৈরি করতে হবে।'
কোয়াড নিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, 'আজ আপনার কাছে QUAD আছে, কারণ আপনার কাছে আজ সরকার আছে, যারা এটির পক্ষে দাঁড়াতে পারে। এটিকে একটি চুক্তি বা জোট হিসাবে দেখা উচিত নয়। QUAD পুনরুজ্জীবিত হতে এক দশক সময় লেগেছে। এটি এজেন্ডা পূরণ করে, আমি মনে করি এটি ভালভাবে চলছে। এটি নমনীয় এবং সৃজনশীল।'
রাহুল গান্ধীর
চিনকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'এর অনেকটাই রাজনীতি। আমি ভারতের একজন নাগরিক হিসেবে চিন্তিত হয়ে পড়ি যখন আমি কাউকে চিন নিয়ে আবোলতাবোল বকতে দেখি। চিনের জন্য রাহুল গান্ধীর একটি শব্দ হল সম্প্রীতি এবং ভারতের জন্য তা বিরোধ।'.
জয়শঙ্কর বলেন, 'সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন হলে চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকবে না। কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় টহল দেওয়ার বিষয়ে পারস্পরিক সম্মত হতে হবে। ১৯৭০-এর দশকে আমরা এমন এলাকা বেছে নিয়েছিলাম, যেখানে আমরা টহল দিতাম না।'
চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পর্যায় বলে মন্তব্য করলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, 'চিনের পরিস্থিতি খুবই ঠুনকো এবং পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং। আপনি চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারবেন না এবং ভান করতে পারবেন না যে সবকিছু স্বাভাবিক।'
জি-২০ সম্মেলনকে ডিবেটিং ক্লাব করা ঠিক হবে না। আমরা এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় নিয়ে সব সদস্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে কিছু কংক্রিট বিষয় উঠে আসছে। বালিতেও এগুলি উঠেছিল। যেখানে সাহায্য করার প্রয়োজন ভারত সেটাই করছে। বাস্তব বিশ্বে, আপনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। আমি যখন নিউইয়র্কে ছিলাম, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং পারমাণবিক কেন্দ্র ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এটি একটি খোলা প্রশ্ন। যখনই সুযোগ ছিল, আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-র আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথমে বক্তব্য রাখছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, এবার জি-২০ সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক কিছু। যার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টাও রয়েছে। একটা বড় সমস্যা চলছে ইউক্রেনে। সেটার সমাধান দিল্লিতে বসে সম্মেলনের মাধ্যমে হবে না।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-র আজ দ্বিতীয় দিন। এবারের থিম 'দ্য ইন্ডিয়া মোমেন্ট'। ইন্ডিয়া টুডে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান অরুণ পুরীর বক্তব্যের মাধ্যমে কাল শুরু হয়েছে ২০তম এডিশন। আজ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।