আমি নিজেই একসময়ে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করতাম। সমালোচকদের এমনই পাল্টা জবাব দিলেন নারায়ণ মূর্তি। সম্প্রতি তিনি যুবসমাজকে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে অফিস করার সুপারিশ করেছিলেন। তাই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। তবে এতদিন পর সেই বিতর্ক নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা। শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্যে অটল থাকলেন। আরও একবার বললেন যে ভারতীয় যুবকদের অন্তত ৭০ ঘণ্টা কাজ করা উচিৎ।
সকাল ৬.২০ থেকেই অফিস
সম্প্রতি ET-তে একটি সাক্ষাৎকার দেন নারায়ণ মূর্তি। সেখানে তিনি বলেন, 'আমি সকাল ৬.২০-তে অফিসে পৌঁছে যেতাম। আর সন্ধ্যা ৮.৩০-এ অফিস থেকে বের হতাম। সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতাম। নারায়ণ মূর্তি জানান,
কর্মজীবনের প্রথম দিন থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি সপ্তাহে ৮৫ থেকে ৯০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আজ যিনিই জীবন সফল বা সমৃদ্ধ হয়েছেন, তিনিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
পিতামাতা তাঁকে দারিদ্র্য থেকে বাঁচার এই উপায় শিখিয়েছিলেন:
ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা জানান, তাঁর বাবা-মা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করতেন। ছোটবেলাতেই তাঁকে এটা শিখিয়েছিলেন যে, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল কঠোর পরিশ্রম করা। নারায়ণ মূর্তি বলেন, এক-একটি ঘণ্টাও গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের সপ্তাহে অন্তত ৭০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত।
নারায়ণ মূর্তি যুবকদের কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?
গত অক্টোবরে নারায়ণ মূর্তি বলেছিলেন, 'ভারত যদি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে চায় (ভারতীয় অর্থনীতি), সেক্ষেত্রে যুবকদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে, সপ্তাহে ৬দিন করে কাজ করতে হবে।' অর্থাৎ, প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা করে অফিস করার সুপারিশ করেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁর এই বক্তব্যের পর দেশজুড়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই এক বিরোধিতা করেন। আবার অনেকে নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে একমত ছিলেন। অনেকে আবার বলেন, কাজের মানের উপরেই বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। কাজ কতক্ষণ ধরে করা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
জাপানের উদাহরণ
নারায়ণ মূর্তি সেবার জাপানেরও উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশ নতুন করে গড়ে তুলতে জাপান কঠোর পরিশ্রম করেছিল। আর সেই কারণেই দেশটি এত দ্রুত উন্নতি করতে পেরেছে। তিনি বলেন, কাজ করার ক্ষেত্রে সময়ের নিরিখে ভারত অনেক পিছিয়ে।