'বাংলায় ৪৬-৪৯ আসন পাবে', বিজেপির 'ঘরের সমীক্ষা' নাকি জানতে পেরেছেন ডেরেক!

সামনেই বিহারের বিধানসভা ভোট। তার আগেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে। কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিহারের কথা বলা হলেও কমিশনের আসল নিশানা বাংলা।

Advertisement
'বাংলায় ৪৬-৪৯ আসন পাবে', বিজেপির 'ঘরের সমীক্ষা' নাকি জানতে পেরেছেন ডেরেক!'৪৬ থেকে ৪৯টি আসন পাবে' ভোটার তালিকা সংশোধন নির্দেশিকায় BJP-কে খোঁচা ডেরেকের
হাইলাইটস
  • সামনেই বিহারের বিধানসভা ভোট
  • তার আগেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে

নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নির্দেশিকা ঘিরে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এনিয়ে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। এটাও দাবি করেছেন বিজেপির সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তারা ৪৬ থেকে ৪৯টি আসন পাবে। এর আগে কমিশনের নতুন নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটিকে এনআরসি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলেন যে এই নির্দেশিকা রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেই দেওয়া হয়েছে।

সামনেই বিহারের বিধানসভা ভোট। তার আগেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধনের কথা জানিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে। কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিহারের কথা বলা হলেও কমিশনের আসল নিশানা বাংলা। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত নয় এমন ভোটারদের তাঁদের জন্মস্থানের প্রমাণ এবং ভারতীয় নাগরিকত্বের একটি ‘সেল্‌ফ অ্যাটেস্টেড ডিক্লারেশন’ দিতে হবে। ২৪ জুন জারি করা নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুসারে, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই-র আগে জন্মগ্রহণকারী ভোটারদের ফর্মে তাঁদের জন্মের তারিখ এবং/অথবা জন্মস্থান জানাতে হবে। অবৈধ ভোটার-সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিহারের নাম করে কমিশন আসলে বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে। এনিয়ে এবার সরব হয়েছেন দলের সাংসদ ড্রেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন বিহারে ভোটার তালিকার সংশোধন অভিযান চালাচ্ছে। তারা বলেছে যে এরপর তারা বাংলাতেও এটা করবে। এর অধীনে, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণকারীদের জন্ম ও জন্মস্থানের প্রমাণ জমা দিতে হবে। জুলাই ১৯৮৭ থেকে ডিসেম্বর ২০০৪ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য নিজের  জন্ম ও জন্মস্থানের নথি দিতে হবে। এছাড়াও বাবা ও মায়ের মধ্য়ে একজনের মথি জমা দিতে হবে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের পরে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য নিজের এবং বাবা মায়ের জন্ম ও জন্মস্থানের প্রামাণ্য নথি জমা দিতে হবে।'

Advertisement

ডেরেক আরও বলেন, 'যদি এই নথিগুলি এক মাসের মধ্যে জমা না দেওয়া হয়, তাহলে আপনার নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হবে। একটি সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে, কিন্তু সাংবিধানিক সংস্থাটি বিজেপির শাখা অফিসে পরিণত হওয়া উচিত নয়। হঠাৎ করে কেন এই মহড়াটি এখনই করা হচ্ছে? আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে এটি এখন করা হচ্ছে কারণ বাংলার জন্য বিজেপির সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে বিজেপি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ৪৬ থেকে ৪৯ আসন পাবে। পরিবর্তন বা পরিবর্তনের চেষ্টার জন্য মরিয়া হয়ে তারা এসব কাজ করছে।'

POST A COMMENT
Advertisement