প্রথম জীবনে জিলিপি বিক্রি করতেন। পরে হন স্বঘোষিত গুরু। অভিযোগ, অন্তত ১০০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। ধর্ষণের ভিডিয়োও করেছেন। আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত সেই ‘জিলিপি বাবা’ ওরফে বিল্লু ওরফে অমরবীর। স্ব-ঘোষিত ধর্মগুরু জালেবি বাবা-কে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিল হরিয়ানার ফতেহাবাদের (Fatehabad) একটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত।
তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি মহিলাদের মাদক সেবনে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, যে সমস্ত মহিলা জালেবি বাবার কাছে কোনও সাহায্য চাইতে আসতেন তাঁদের মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করতেন ওই স্ব-ঘোষিত ধর্মগুরু। অভিযোগ, ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করে তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে টাকাও চাইতেন জালেবি বাবা। ফতেহাবাদ আদালত অমরপুরীকে গত ৫ জানুয়ারি ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা জজ বলওয়ান্ত সিং অমরপুরিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
২০১৮ সালে হরিয়ানা পুলিশ ফতেহাবাদের তোহানা শহর থেকে অমরপুরিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে ১২০টি যৌন-ভিডিও ক্লিপিং উদ্ধার হয়। তৎকালীন ফতেহাবাদ মহিলা পুলিশ সেলের ইনচার্জ বিমলা দেবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। দীর্ঘদিন বিচার চলার পর মঙ্গলবার দোষীর সাজা ঘোষণা করে আদালত।
২০১৮ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেন, মন্দিরের ভিতর তাঁকে ধর্ষণ করেছেন জালেবি বাবা। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও জামিন পেতে সমস্যা হয়নি। এরপর ২০১৯ সালে ফের একটি ধর্ষণের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তাঁর মন্দিরে তল্লাশি চালিয়ে যৌন উত্তেজক ওষুধ, ধর্ষণের ভিডিও, অপরাধের এমন নানা প্রমাণ পায় পুলিশ। আর তার ভিত্তিতেই ওই গুরুকে আটক করা হয়। দেখা যায়, নিজের মোবাইলেই অন্তত ১২০টি ভিডিও তুলেছিলেন ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। আর সেই ভিডিও দেখিয়েই নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেল করে ফের ধর্ষণ করতেন তিনি।
৬৩ বছর বয়সী অমরপুরীকে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (POSCO) আইনের ৬ ধারায় নাবালিকাকে দুবার ধর্ষণের জন্য ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ৩৭৬ ধারার অধীনে দুটি ধর্ষণের মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারক জলেবি বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর কোর্টরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন- জোশীমঠের মতোই ধ্বংসের পথে উত্তরাখণ্ডের আরও ৫ শহর