যন্তরমন্তরে কুস্তিগীরগের আন্দোলনস্থলে ফের উত্তেজনা। আন্দোলনরত কুস্তিগীর ও কয়েকজন পুলিশকর্মীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতি হয়েছে বলে খবর। পুলিশকর্মীরা তাঁদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ কুস্তিগীরদের। যার জেরে কয়েকজন আন্দোলনকারী মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। বুধবার রাতের এই ঘটনার পর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে জেতা সমস্ত পদক ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভিনেশ ফোগট।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ যন্তর মন্তরে পুলিশ ও কুস্তিগীরদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর নেপথ্যে প্রধান কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, ফোল্ডিং বিছানা। বৃষ্টির কারণে বিছানা ভিজে যাচ্ছিল। তাই আনা হচ্ছিল ফোল্ডিং বিছানা। সেই সময় কুস্তিগীরদের বাধা দেন পুলিশ কর্মীরা। এরপরেই বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কুস্তিগীরদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী রেয়াত করা হয়নি মহিলা কুস্তিগীরদেরও। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বিনেশ ফোগট। তিনি বলেন, 'যদি তাঁরা আমাদের মেরে ফেলতে চান, তাহলে মেরে ফেলুন'।
এদিকে পুলিশ জানাচ্ছে, আপ নেতা সোমনাথ ভারতী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনস্থলে পৌঁছান। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিছান। আবার বজরং পুনিয়ার দাবি, তাঁরাই বিছানার অর্ডার দিয়েছিলেন এবং সেগুলি ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই মারামারি শুরু হয়। তাঁর দাবি, সেখানে আপ নেতা সোমনাথ ভারতী ছিলেন না।
পুলিশকে চিঠি
এদিকে পুলিশকে একটি চিঠিও দিয়েছেন আন্দোলনরত কুস্তিগীররা। চিঠিটি পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে লিখেছেন ভিনেশ ফোগট। চিঠিতে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকী এসিপি ধর্মেন্দ্র যন্তর মন্তর খালি করে দেওয়ার জন্য কুস্তিগীরদের হুমকি ও গালাগালি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে। ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর আবেদনও জানিয়েছেন ভিনেশ।
কেন আন্দোলন?
প্রসঙ্গত, কুস্তি সংঘের সভাপতি ব্রিজভূষণ স্মরণ সিং-এৎ বিরুদ্ধে গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরের সামনে অবস্তান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন কুস্তিগীররা। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনর অভিযোগ এনে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন - বজবজে গুলিবিদ্ধ সাক্ষী, প্রকাশ্যে CCTV ফুটেজ