Jharkhand Assembly: ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নমাজ পড়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে আলাদা ঘর। কেন তা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সে রাজ্যের বর্ষাকালীন অধিবেশনে ওই ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে। আর তারপরই বিজেপি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (Jharkhand Mukti Morcha)-র সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন দেওয়া হল ঘর?
বোকারোর বিজেপি বিধায়ক
সেখানে তৈরি হয়েছে নতুন বিধানসভা ভবন (Jharkhand Assembly)। বোকারোর বিজেপি বিধায়ক এবং দলের মুখ্যসচেতক বিরাঞ্চি নারায়ণ দাবি তুলেছেন, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্যও একই ব্যবস্থা করতে হবে। হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য ঘর বরাদ্দ করা মানে সবাইকে সম্মান দেওয়া। যখন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য প্রার্থনার ঘর দেওয়া যেতে পারে, তখন বাকিদের জন্যও একই ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বিধানসভায় হল্লা?
সূত্রের খবর, বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে হইহল্লা পাকাতে পারে বিজেপি। বিষয়টি সহজে ছেড়ে দিতে চাইছে না তারা। বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ দেখা পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিহারের উদাহরণ
তবে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষ রবীন্দ্র মাহাতো জানান, সেটি মোটেই নতুন কোনও বিষয় নয়। কারণ এর আগে অবিভক্ত বিহারে একই ব্য়বস্থা ছিল।
রবীন্দ্র মাহাতো জানান, শুক্রবার বিধানসভা নমাজের জন্য আধ ঘণ্টা আগে মুলতুবি হয়ে যায়। পুরনো বিধানসভা ভবনে ব্যবস্থা ছিল এবং নমাজের জন্য আলাদা জায়গা ছিল। এখন নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। আর সেখানে নমাজের জন্য নির্দিষ্টচ কোনও জায়গা ছিল না। আর সে কারণেই একটি আলাদা ঘর বরাদ্দা করা হয়েছে।
মন্ত্রীর বক্তব্য
সে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী হাফিজুল আনসারি ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু মন্ত্রীরা আগে নিজেদের ঘরে নমাজে অংশ নিতেন। সেখানে তাঁদের খুব কষ্ট হত। তাঁদের কোনও উপায় না থাকায় তাঁদের বাসস্থানে যেতে হত এবং তারপর ফিরতে হত। আর সে কারণে অধিবেশনের কাজে প্রভাব পড়ত। বিজেপির ব্য়াপারে সবাই জানেন। তারা সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। সব কিছুতেই ধর্ম খোঁজে।