চোখের সামনে মিলিয়ে যেতে বসেছে একটা আস্ত এলাকা! দীর্ঘদিনের স্মৃতি, ভিটেবাড়ি চোখের জলে ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় মানুষেরা৷ যোশীমঠে এখন শুধুই দীর্ঘশ্বাস আর চাপা কান্না। পরিত্যাক্ত শহরে পরিণত হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেবভূমি যোশীমঠ। ‘মাউন্ট ভিউ’, ‘মলারি ইন’- সহ বেশ কয়েকটি হোটেলে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ যোশীমঠের শহুরে এলাকায় বেশ কয়েকটি অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে প্রায় ৫০০-এর অধিক বাড়ি৷
কাল থেকে বিপজ্জনক বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে যোশীমঠে। এখন পর্যন্ত, জোশিমঠের ৬৭৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ৮১টি পরিবারকে সাময়িকভাবে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলে অনিরাপদ এবং বিপজ্জনক ভবন চিহ্নিত করেছে। এবং রেড ক্রস চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা পাহাড়ি শহর জোশীমঠে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা না করে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের দ্বারা ফাটল ধরা বাড়ি এবং হোটেল ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। হোটেল মালারি ইনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যেটিকে অনিরাপদ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং জানা গেছে, ওই হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোটেল মালারি ইন এবং অন্যান্য অনিরাপদ বাড়ি বুধবার ভেঙে ফেলা হবে। আচমকা এই পদক্ষেপের জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ২ জানুয়ারি থেকেই গাড়োয়াল হিমালয়ের ছোট জনপদ জোশীমঠে জায়গায় জায়গায় ধস নামে। ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে। রাস্তাতেও যেখানে সেখানে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। মাটির তলা থেকে আসছে অদ্ভুত শব্দ। এর পরই জোশীমঠের আতঙ্কিত স্থানীয়রা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে পথে নামেন। আপাতত সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ চলছে। গত রবিবারই জোশীমঠকে ‘বসবাসের অনুপযোগী’ বলেও ঘোষণা করে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। বর্তমানে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৮।
আরও পড়ুন-ভোর থেকে শুরু দৌড়, অগ্নিবীর হতে চান? প্রথম ব্যাচের ট্রেনিং কেমন, জানুন