কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় কংগ্রেসের। আর এরই মাঝে 'বজরংবলি'কে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বিজেপিকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেন,"ভগবান হনুমানের ভক্তরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন"।
কংগ্রেস কর্ণাটকের নির্বাচনী ইস্তেহারে চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে দমন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন PFI এবং VHP-এর যুব শাখা বজরংদলকে একই তালিকায় রাখে কংগ্রেস।
এদিকে এর জেরে ক্ষোভের সঞ্জার হয় বিজেপির মধ্যে। এর প্রক্ষিতে কর্ণাটকের একটি নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে নিশানা করেন। যাঁরা 'জয় বজরংবলি' ধ্বনি তোলেন, তাঁদের নিষিদ্ধ প্রচেষ্টা করার এই প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনাও করেন মোদী। এমনকী প্রধানমন্ত্রী এও বলেছিলেন যে, বজরং দলের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ "বজরংবলি"কে অপমান করার সমান৷ এক্ষেত্রে "ধর্মীয় বিবৃতির মাধ্যমে ভোটারদের মেরুকরণের চেষ্টা"র জন্য বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
'বিজেপির জন্য একটি বার্তা': পবন খেরা
ভোট গণনা শুরুর পর থেকেই এগিয়ে যেতে থাকে কংগ্রেস। এর প্রেক্ষিতে পবন খেরা বলেন, এই ফলাফল বিজেপির জন্য একটি বার্তা যে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সঙ্গে থাকা উচিত ... এবং ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা না করা উচিত"। কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা বলেন, পরাজয় থেকে একটি শিক্ষা গ্রহণের পরে প্রচণ্ড জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় তিনি তাঁর দলের জন্য গর্বিত।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে দুর্নীতিকে প্রধান ইস্যু করে প্রচারে নামে কংগ্রেস। অন্যদিকে প্রথমে বিকাশ ও পরে বজরংবলি-ইস্যুকে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াইতে নামে গেরুয়া শিবির। ৬টি বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ৫টিতেই দেখান হয়েছিল যে, এবার কর্ণাটকে বৃহত্তম দল হতে পারে কংগ্রেস। শুধুমাত্র একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, বৃহত্তম দল হতে পারে বিজেপি। তবে ফলাফলে দেখা গেল এবারের নির্বাচনে কর্ণাটকের বৃহত্তম দল হয়ে উঠে এল কংগ্রেসই।
আরও পড়ুন - কর্ণাটকে চলছিল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, আচমকাই ঢুকে পড়ল সাপ! VIDEO