Honey Trap Karnataka: 'হানি ট্র্যাপের শিকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ৪৮ জন রাজনীতিবিদ', কর্ণাটকের বিধানসভায় দাবি ঘিরে শোরগোল

কর্ণাটকের মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয়হানি ট্র্যাপের কবলে দেশের প্রায় ৪৮ জন মন্ত্রী ও নেতা। এমনই দাবি কর্ণাটকের এক মন্ত্রীর। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরাও আছেন বলে দাবি তাঁর। সব দলই নাকি এই হানি ট্র্যাপের কবলে পড়েছে। কর্ণাটকের সমবায়মন্ত্রী কেএন রাজন্না ভরা বিধানসভায় এই কথা বলেন। এদিকে তিনি নিজেও এই ফাঁদে পড়েছেন বলে দাবি করেন। নেতাসহ ৪৮ জন রাজনীতিবিদ মধুচক্রের ফাঁদে আটকা পড়েছেন

Advertisement
'হানি ট্র্যাপের শিকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ৪৮ জন রাজনীতিবিদ', কর্ণাটকের বিধানসভায় দাবি ঘিরে শোরগোল

হানি ট্র্যাপের কবলে দেশের প্রায় ৪৮ জন মন্ত্রী ও নেতা। এমনই দাবি কর্ণাটকের এক মন্ত্রীর। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরাও আছেন বলে দাবি তাঁর। সব দলই নাকি এই হানি ট্র্যাপের কবলে পড়েছে। কর্ণাটকের সমবায়মন্ত্রী কেএন রাজান্না ভরা বিধানসভায় এই কথা বলেন। এদিকে তিনি নিজেও এই ফাঁদে পড়েছেন বলে দাবি করেন।

স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই দাবিতে বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। তবে নিজের দাবিতে অনড় কেএন রাজান্না। তাঁর কথায়, কোনও একটি দল নয়, সমস্ত দলেই এই হানি ট্র্যাপের চক্র নেতা মন্ত্রীদের ফাঁদে ফেলেছে। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমি যতটুকু জানি, সেই অনুযায়ী এই সিডি এবং পেন ড্রাইভের শিকার প্রায় ৪৮ জন। শুধু আমাদের দিকের লোকেরাই নন, ওদিকেও(বিরোধীদের দেখিয়ে) আছেন।' 

'খবরে দেখাচ্ছে যে, তুমাকুরুর দুই মন্ত্রী মধুর ফাঁদে আটকা পড়েছেন। আমি সেই তুমাকুরুর মন্ত্রীদের মধ্যে একজন। অন্যজন ডঃ পরমেশ্বর - আমাদের দু'জনের কথাই বলা হচ্ছে। এই নিয়ে নানা জল্পনাও হচ্ছে। তবে তাই নিয়ে এখনে আমার মুখ খোলাটা ঠিক হবে না,' বলেন তিনি।

রাজান্না আরও বলেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাবেন। এর পিছনে কে বা কারা জড়িত, তাদের স্বার্থও জানতে চান বলে সরব হন রাজন্না।

রাজন্নার ছেলে, এমএলসি রাজেন্দ্রও এই বিষয়ে বলেন, 'গত প্রায় ৬ মাস ধরে রাজনীতিবিদদের হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা চলছে।' রাজেন্দ্র বলেন, 'ওরা হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে, বা মেসেজ পাঠায়। ছয় মাস ধরেই হয়ে চলেছে।'

মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, 'হ্যাঁ, একজন মন্ত্রীকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, তা সফল হয়নি। কর্ণাটকে হানি ট্র্যাপ বিষয়টি নতুন কিছু নয়। রাজনীতিতে এই ধরনের বিষয় কাম্য নয়, তবে কেউ কেউ এভাবে টাকা কামানোর চেষ্টা করছে। এটা থামাতেই হবে।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement