জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বিতর্কের মধ্যেই এবার মথুরা। একই কায়দায় মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বর সমীক্ষার নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশের আদালত। আগামী বছর ২ জানুয়ারি অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ওই মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা করবে।
‘বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়।’ নয়ের দশকে করসেবকরা ওই দাবি তুলেছিলেন। মথুরা ও কাশী নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নানা দাবি এর আগেও শোনা গিয়েছে। ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’কে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলিকে ‘মুক্ত’ করা হবে। সেই বিতর্কের আবহে আদালতের এই নির্দেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন-চিনে হাহাকার, আমেরিকায় বাড়ছে Corona-র সংক্রমণ; ভারতেও নয়া গাইডলাইন
মথুরাকে (Mathura) ঘিরে হিন্দুদের বিশ্বাস, ওই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। কৃষ্ণজন্মভূমি চত্বরেই রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব।
আপাতত মুসলিম পক্ষের হাতে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকলেও হিন্দুদের দাবি ওখানেই জন্ম হয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের (Sri Krishna)। একাধিক হিন্দু সংগঠন সপ্তদশ শতকের ওই মসজিদটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে মথুরার ওই স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করে।
হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের তরফে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী বিষ্ণু শর্মা। তাঁর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মথুরার স্থানীয় আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি বিতর্কিত ওই মসজিদের সার্ভে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ASI-কে। ২০ জানুয়ারির আগে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)।
হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মথুরার (Mathura) সিনিয়র ডিভিশন আদালত এই আদেশ দেয়। আগামী ২০ জানুয়ারি আদালতে সমীক্ষার রিপোর্ট দাখিল করা হবে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে জরিপ। এক বছর আগে মথুরার জেলা আদালতে এই মর্মে আবেদন করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে ফের মন্দির-মসজিদ বিবাদের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-১৮ না ১৬... সম্মতির মিলনেও অপরাধ! বয়স কমানো নিয়ে কেন বিতর্ক?