এক আধ বছর নয়। একেবারে ১০০ বছর পর ফুটল এক বিশেষ ফুল। যাক নামও বেশ মজার। 'ভারতীয় লিপস্টিক প্ল্যান্ট'। তার কারণও আছে। আসলে এই ফুল দেখতে একেবারে লিপস্টিকের মতো।
অরুণাচল প্রদেশের আঞ্জু জেলা থেকে এই বিরল উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। যার নাম 'ভারতীয় লিপস্টিক প্ল্যান্ট'। বিজ্ঞানীদের ভাষায় এই উদ্ভিদটিকে বলা হয় Aeschynanthus monetaria Dunn।
জানা যায়, এই ফুল প্রথম শনাক্ত করেছিলেন ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদ স্টিফেন ট্রয়েট ডান। সালটা ১৯১২। অরুণাচল প্রদেশ থেকে সংগৃহীত উদ্ভিদের নমুনার ভিত্তিতে আর এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী আইজ্যাক হেনরি বার্কিল এই গাছ আবিষ্কার করেন। এই ক্ষেত্রে, বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বোটানিস্ট কৃষ্ণা চাউলু 'কারেন্ট সায়েন্স জার্নালে' প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলেছেন, 'এই গাছের নল লাল রঙের হয়ে থাকে। এদের লিপস্টিক উদ্ভিদ বলা হয়।'
আরও পড়ুন : স্বামী কেটে নিয়েছে হাত, সেই নার্সকে নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
অরুণাচল প্রদেশে এই ফুল অধ্যয়ন করার সময়, উদ্ভিদবিদ কৃষ্ণা চাউলু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আনজু জেলার হুইলিয়াং এবং চিপ্রু থেকে অ্যাসিন্থাসের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তারপর পুরানো নথিগুলি অধ্যয়নের পর, তিনি নিশ্চিত করেন ১৯১২ সালে বার্কেলের পর থেকে Aescinthus monetaria-এর এই নমুনা ভারতে আর মেলেনি।
আরও পড়ুন : BJP-তেই আছেন মুকুল রায়, জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ
উদ্ভিদবিদদের মতে, এই উদ্ভিদটি আর্দ্র এবং চিরহরিৎ বনে ৫৪৩ থেকে ১১৩৪ মিটার উচ্চতায় জন্মায়। এর ফুল ও ফলের সময় অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে। অন্য উদ্ভিদবিদ গোপাল কৃষ্ণের মতে, Aeschinanthus নামটি গ্রীক aishine বা aeskin থেকে এসেছে। যার অর্থ- লজ্জিত বা বিব্রত বোধ করা। যেখানে অ্যান্থোস মানে ফুল। একই সময়ে, 'মনেটেরিয়া' মানে- 'পুদিনার মতো', যা এর পাতার কথা বলে। চাউলু, কারেন্ট সায়েন্স রিপোর্টের সংক্ষিপ্তসারে বলেছেন, অরুণাচল প্রদেশের আনজু জেলায় প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
তবে রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্কুল নির্মাণ, নতুন বসতি, বাজার নির্মাণ এই ধরনের কাজ হলে এই উদ্ভিদগুলি জন্মানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।