বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল দেশজুড়ে। মৃত্যুর জন্য স্ত্রী-কে দায়ি করে গিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ঘটনাস্থল সেই কর্ণাটক। হুব্বালির সেই ব্যক্তি তাঁর চরম পরিণতির জন্য স্ত্রী-কে দায়ি করে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মৃত পিটার গোল্লাপল্লি ও তাঁর স্ত্রী-র মাস তিনেক ধরে ঝামেলা চলছিল।
পিটার তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, 'বাবা, আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার বউ পিঙ্কি আমাকে মেরেছে। আমার মৃত্যুর জন্য ওই দায়ি। পিঙ্কি আমার মৃত্যু চাইত। আমি চলে গেলাম আমার স্ত্রী-র কারণেই।'
পিটারের ভাই জানান, রবিবার তিনি চার্চ থেকে ফিরে আসেন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। তারপরই দেহ দেখতে পান। মৃতদেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তিনি পুলিশে খবর দেন।
পিটারের ভাই আরও জানান, বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তাঁর দাদার। বিগত কয়েক মাস ধরে বউদির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। সেই কারণে কোর্টে কেসও চলছিল। তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। কিন্তু তারপরও অশান্তি লেগেই থাকত। পিটারের কাছে তাঁর স্ত্রী ২০ লাখ টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন।
পিটারের বাবা জানান, তাঁর বউমা ও পরিবারের চাপের কারণেই ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, 'আমার ছেলের এই পরিণতি হবে তা কোনওদিন ভাবিনি। চাপে পড়়ে ওকে এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। বউমা যখন তখন এই বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে চলে যেত বাপের বাড়ি। বলে যেত, কোনওদিন ফিরবে না। দিনের পর দিন এই অশান্তি আমার ছেলেকে সহ্য করতে হয়েছে।'
পিটারের ভাই আরও জানান, বউদির কারণেই তাঁর দাদার চাকরি চলে যায়। বাড়িতে অফিসের মিটিং চলাকালীন একদিন ঝামেলা করেছিলেন তাঁর বউদি। তারপরই কোম্পানি বরখাস্ত করে পিটারকে। তিনি সেই থেকে কর্মহীন অবস্থায় বাড়িতে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পিটার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্ততকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর আত্মঘাতী হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ। চরম পদক্ষেপের জন্য প্রাক্তন স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন দায়ি করেন তিনি। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট ও একটি ভিডিও। সেই সুইসাইড নোট পড়ে এবং মৃত্যুর আগের ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।