এখন আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে আপনার সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার একটি নতুন বিল তৈরি করেছে, যাতে সম্পত্তির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছে। এটি বিক্রয় চুক্তি, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি এবং অন্যান্য নথিপত্রের রেজিস্ট্রেশনও বাধ্যতামূলক করবে। এটি ১১৭ বছরের পুরনো রেজিস্ট্রেশন আইনের বদলেই আনা হবে। এর বিলের অধীনে সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন অনলাইনে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডিজিটালাইজড করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হল সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন দ্রুত, স্বচ্ছ এবং সাধারণ মানুষের জন্য সহজ করা। এই বিলটি গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের ভূমি সম্পদ বিভাগ তৈরি করেছে। এখন মানুষ ২৫ জুন পর্যন্ত এই বিল নিয়ে তাঁদের মতামত জানাতে পারবেন।
অনলাইনে নথি জমা এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও সরকার জালিয়াতি রোধে 'সম্মতি' দিয়ে আধার দিয়ে যাচাইকরণের প্রস্তাব করেছে। যারা আধার দিতে চাইবেন না তাঁদের জন্য অন্যান্য যাচাইকরণ পদ্ধতিও থাকবে। এছাড়াও, খসড়া বিলে তথ্য আদান-প্রদান উন্নত করার জন্য অন্যান্য রেকর্ড-রক্ষণকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?
সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ প্রদীপ মিশ্র বলেন, 'এই নিয়মের ফলে মানুষ অনেক উপকৃত হবেন এবং এখন সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের জন্য শারীরিকভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এখন আপনি ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জন্য খুব সহজ হবে, বিশেষ করে যারা অসুস্থ এবং বাইরে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। হ্যাঁ, কিন্তু যখন কোনও বড় পরিবর্তন আসে, তখন কিছুটা সময় লাগে। সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে হবে, কারণ যদি কোনও ত্রুটি থেকে যায়, তাহলে নতুন পরিবর্তনও সমস্যা তৈরি করতে পারে।'
প্রদীপ মিশ্র আরও বলেন, 'সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক, তবে এই প্রক্রিয়াটি যখন শুরু হবে, তখনই সঠিকভাবে জানা যাবে যে মানুষ কতটা সুবিধা পাচ্ছে।'
জালিয়াতি প্রতিরোধ
খসড়ায় সম্পত্তি-সম্পর্কিত তথ্যের অ্যাক্সেস সহজতর করতে এবং জালিয়াতির ঝুঁকি কমাতে অন্যান্য রেকর্ড-রক্ষণকারী সংস্থার সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা যুক্ত করারও সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি কর্তারা বলেছেন যে বিলটি সরকারি এবং বেসরকারি উভয় লেনদেনে আধুনিক আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত করে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই পুরনো আইনের অধীনে ডিজিটাল সিস্টেম এনেছে এবং এখন কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশেই একটি সিঙ্গল ডিজিটাল সিস্টেম আনতে চায়।