শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাযর পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ৮৩ জনের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করতে পারেনি রেল। শনাক্ত হওয়া ২০৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট মৃতদেহ শনাক্ত করতে ভারতীয় রেল সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইল।
মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার জন্য রেলওয়ে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক প্রকাশ করেছে। সেখানে মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। রেলওয়ের উদ্দেশ্য হল, এই বার্তাটি যতটা সম্ভব বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া। যাতে আত্মীয়রা তাঁদের প্রিয়জনকে সনাক্ত করতে পারেন।
ভারতীয় রেলওয়ের তরফে www.srcodisha.nic.in-এই ওয়েবসাইটে মৃতদেহের ছবিগুলি প্রকাশ করেছে। সেই সব ছবিতে লাশ নম্বর লেখা রয়েছে। যেমন, ১, ২, ৩...১৫১, ১৫২..২৮৮ ইত্যাদি। তবে সেই ছবিগুলো দেখে কত ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
রেলওয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে আবেদন করেছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন এসে পরিবারের সদস্যদের দেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান। এই বিজ্ঞাপনে হেল্পলাইন নম্বর (১৩৯, ১৯২৯, ১৮০০-৩৪৫০০১) জারি করা হয়েছে। এছাড়া www.osdma.org ওয়েবসাইটে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাধীনদের তথ্য www.bmc.gov.in-এই সাইটে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানাগা রেল স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পরই একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ২৮৮ বলে জানানো হয়। সোমবার যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়, বেশ কিছু মৃতদেহ দুবার গোনা হয়েছে। আসলে মৃতের সংখ্যা ২৭৫। সেই সংখ্যা আবারও বেড়ে হয় ২৮৮।
দুর্ঘটনার পরই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। রবিবার রেলের তরফে জানানো হয়, রেল মন্ত্রকের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।