scorecardresearch
 

আশঙ্কা বাড়িয়ে মুম্বইয়ে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩.৫ বছরের শিশু

ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির রিপোর্ট উল্লেখ করে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, রাজ্য়ে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement
প্রতীকী ছবি। প্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, রাজ্য়ে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
  • এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে তিন বছরের একটি শিশু।
  • উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুরা! এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের তথ্যে। শুক্রবার দেশের বাণিজ্যনগরীতে ৭ জনের ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে তিন বছরের একটি শিশু। যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনায় এখনও পর্যন্ত শিশুদের সংক্রমণ হার অনেক কম। তৃতীয় ঢেউয়ে কম বয়সিরা আক্রান্ত হতে পারেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে। 

এ দিন দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সেই সঙ্গে রাজধানীতে করোনার এই প্রজাতির সংক্রমিতের সংখ্যা হল ২। গোটা দেশে ৩৩ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্য়ে অনেকেই সংক্রমণ-মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ছোট শিশুর আক্রান্ত হওয়ার খবর নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।   

আরও পড়ুন- Omicron আতঙ্ক! মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা, নিষিদ্ধ মিটিং-মিছিল

ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির রিপোর্ট উল্লেখ করে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, রাজ্য়ে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মুম্বইয়ের ৩ ও বাকি ৪ জন পিম্পরী ছিচবাড় এলাকার। এই জায়গাটি পুণের জেলার অন্তর্গত। এই আক্রান্ত ৪ জনই নাইজেরিয়া থেকে আগত তিন মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। পরে তাঁরাও পজিটিভ হন। সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুও আছে। এ থেকে স্পষ্ট, শিশুরাও ওমিক্রন সংক্রমিতের কাছাকাছি আসলে আক্রান্ত হচ্ছে। 

 ওমিক্রনের শিকার ৪ কমবয়সি

মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই কমবয়সিদের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ লক্ষ্য় করা গিয়েছে। রাজ্য় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ নভেম্বর নাইজেরিয়ার লাগোস থেকে মহারাষ্ট্রের পিম্পরি ছিড়বাড়ে আসেন ৪৪ বছরের এক মহিলা (ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাইজেরীয় নাগরিক)। ওই মহিলা ও তাঁর দুই মেয়ের নমুনা পরীক্ষায় মেলে কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতির হদিশ। তাঁর দুই মেয়ের বয়স যথাক্রমে ১৮ ও ১২। সংক্রামিত হয়েছেন ওই মহিলার দাদা। তাঁর বয়স ৪৫। তাঁর সাত ও সাড়ে তিন বছরের দুই মেয়েও আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ভারতে ১৮-র নীচে ওমিক্রন সংক্রামিত হয়েছেন চার জন। সাড়ে তিন বছরের শিশু এবং বারো, সাত ও সাড়ে তিন বছরের মেয়ে।  

Advertisement

 বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? 

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের জন্য চলছে টিকাকরণ। ফলে তার কম বয়সিদের আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। সংবাদ সংস্থাকে Tata Institute for Genetics and Society (TIGS)-র পরিচালক রাকেশ মিশ্র জানান, টিকাকরণ আরও বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বাচ্চাদেরও টিকা দেওয়া দরকার। তা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়ক হবে। যদিও লখনৌয়ের এজিপিজিআইএমএস-র আরকে ধীমানের কথায়,''শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ফলে ওমিক্রন শিশুদের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারবে না।'' 

আরও পড়ুন- Omicron-এ দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৩৩; এই সতর্কতা জারি কেন্দ্রের
  

Advertisement